প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে পিকনিকের বাসের সিটে বসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মাদারীপু সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে তিনি জানান, সদর উপজেলার কলাগাছিয়া গ্রামের নিত্যগোপাল গোস্বামী স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে বুধবার নড়াইলের লোহাগড়ায় পিকনিকে যায় কলাগাছিয়া গ্রামের লোকজন। পিকনিক থেকে ফেরার পথে বাসের সিটে বসা নিয়ে মিল্টন হালদার ও প্রকাশ বৈরাগীর বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে বাসের মধ্যেই নিত্যগোপাল গোস্বামী স্মৃতি সংঘের সভাপতি অংশুপতি ভক্ত তাদের মীমাংসা করে মিলিয়ে দেন। কিন্তু বুধবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে মিল্টন হালদারের লোকজন প্রকাশ বৈরাগীর উপরে হামলা চালায়। এ হামলার ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার সকালে মিল্টন হালদারের আত্মীয় অমল হালদারকে একা পেয়ে প্রকাশ বৈরাগীর লোকজন হামলা করে। পরে খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওসি বলেন, এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সভাপতি অংশুপতি ভক্ত বলেন, ‘পিকনিকের বাসে মিল্টন ও প্রকাশের মধ্যে ঝগড়া হলে আমিসহ কয়েকজন মিলে ওদের দুজনকে মিলিয়ে দেই। তারপরও তারা বাস থেকে নেমে বাড়ি আসার পথে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি অনেক দুঃখজনক।
কেন্দুয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহ মো. রায়হান কবীর বলেন, ‘মর নিত্যগোপাল গোস্বামী স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত পিকনিকে বাসে বসা নিয়ে দুইটি ছেলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়। সেই দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় পদেক্ষপ গ্রহণ করবেন।’
এই বিষয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কলাগাছিয়া গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আমরা ২৫ জন রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করেছি। দুই জনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছি। যারা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তারা সবাই আশঙ্কা মুক্ত।’