শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলী, দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন পালনের প্রস্তুতি উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের গভীর ষড়যন্ত্রের তথ্য উদঘাটন করেছে গোয়েন্দা সংস্থা, যা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত জোট কখনোই জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করতে চায় না। সর্বদাই তাদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি, আস্থা স্বাধীনতাবিরোধী ও দেশবিরোধী অপশক্তিতে। জনগণের প্রতি আস্থাহীন হয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বারবার ভুল করে আসছে বলেই তারা জনগণের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বরদাস্ত করে না কিন্তু বারে বারে আওয়ামী লীগই ষড়যন্ত্রের শিকার হয়।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি। করোনা সংক্রমণকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ মানবিকতা ও উদারতার পরিচয় দিয়ে তাকে জামিনে মুক্তির ব্যবস্থা করেন। এই মানবিকতা বা উদারতাকে বিএনপি দুর্বলতা মনে করলে ভুল করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মহামারির এই সময় তারা জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে অবৈধপথে চোরা গলি দিয়ে ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্রের অলিগলি খুঁজে বেড়াচ্ছে। দুঃস্বপ্নে তারা বিভোর হয়ে আছে। আমরা বিএনপি নেতৃবৃন্দের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই— গণবিরোধী ও দেশবিরোধী কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে দেশের জনগণকে সাথে নিয়েই তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। দলীয় সভাপতির ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে আমরা এ শপথ গ্রহণ করছি।
