পাবনায় যৌন উত্তেজক ওষুধ জব্দ

পাবনায় যৌন উত্তেজক ওষুধ জব্দ

পাবনা: পাবনায় এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে একটি ইউনানি ওষুধের কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল যৌন উত্তেজক ওষুধ জব্দ করেছে। সেই সঙ্গে কারখানার মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার গোয়েশপুর ইউনিয়নের জালালপুর বাজার সংলগ্ন এম এস ফুড অ্যান্ড বেভারেজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় (এম এস ল্যাবরেটরিজ-ইউনানি) এ অভিযান চালানো হয়। জব্দকৃত সামগ্রীগুলো মঙ্গলবার বিনষ্ট করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান ঔষধ প্রশাসন আইন অনুযায়ী কারখানার মালিক মাহবুব আলমকে নগদ ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে সঙ্গে সঙ্গে তা আদায় করেন।

এ অভিযানে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, পাবনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুকর্ণ আহমেদ, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শফিক আল কামাল এবং পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, গোপন খবরের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে এনএসআই এবং জেলা প্রশাসন যৌথভাবে ওই কারখানায় অভিযান চালায়। এ সময় ওই কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ যৌন উত্তেজক সিরাপ, কেমিক্যাল এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এস এস পাওডার জব্দ করা হয়। অবৈধ এসব সামগ্রীর বাজার মূল্য ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান, অবৈধ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এসব পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ ও মজুদ রাখার অপরাধে কারখানা মালিককে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে সেই টাকা আদায় করা হয়েছে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এমন উপাদান বা অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ যারা তৈরি করছেন, প্রশাসন তাদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে, নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য মতে, পাবনায় বেশ কিছু ছোট ছোট কারখানা রয়েছে, যেখানে এ ধরনের অবৈধ যৌন উত্তেজক ওষুধ তৈরি করা হয়। নামে বেনামে ক্ষতিকর কেমিক্যাল দিয়ে এনার্জি ড্রিংকসসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বাজারজাত করা হচ্ছে। এ অবৈধ সামগ্রী গোপনে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। ঔষধ প্রশাসনের ও পরিবেশ আইন অমান্য করে জনবসতিপূর্ণ পৌর এলাকার মধ্যে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের কারখানা। এসব কারখানার বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালের কারণে মানবদেহের পাশাপাশি পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। তাই জনস্বার্থে নিয়মিত এমন অভিযান পরিচালনা করা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত- ৩০

বাগআঁচড়া চাঁদাবাজির সময় গণধোলাইয়ের শিকার যুবক