চাদা দাবির মামলায় বঙ্গলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে পরোয়ানা

চাদা দাবির মামলায় বঙ্গলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে পরোয়ানা

ঢাকা: সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস) এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে ৫৭ কোটি টাকা দাবির মামলায় বঙ্গলীগ সভাপতি শওকত হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন (অভিযোগপত্র) আমলে নিয়ে বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এই পরোয়ানা জারি করেন।

আদালতে ইউআইটিএসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান মামুন ও খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জুবায়ের।

অভিযুক্ত শওকত হাসান মিয়া অ্যাসার্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত বহুতল জামালপুর টাওয়ারের মালিক। তার ভাড়া দেওয়া ভবনেই ইউআইটিএসের ক্যাম্পাস ছিল।

সুফি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে গত বছর শওকত একটি নালিশী (সিআর) মামলা করেন। মামলায় ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তির মাধ্যমে ইউআইটিএস কর্তৃপক্ষের কাছে ভাড়া বাবদ ৫৭ কোটি টাকা দাবি করা হয়।

পরে ১৯ ডিসেম্বর ওই জাল দলিল চ্যালেঞ্জ করে শওকত হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে পাল্টা নালিশী (সিআর) মামলা দায়ের করে ইউআইটিএস কর্তৃপক্ষ। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সুফি মিজানের স্বাক্ষর জাল করে সাক্ষীবিহীন একটি ভুয়া ও জাল বাড়ি ভাড়া চুক্তি তৈরি করে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা ইউআইটিএস কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করেন শওকত।

মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে ঘটনা তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। পরে পিবিআইর অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন গত ১৪ জুন বঙ্গলীগের সভাপতি শওকত হাসান মিয়ার করা মামলায় বর্ণিত অভিযোগটি ভিত্তিহীন মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন। অন্যদিকে শওকতের বিরুদ্ধে ইউআইটিএস কর্তৃপক্ষের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে মর্মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামি শওকত হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

ইউআইটিএসের অন্যতম আইনজীবী মান্নান ভূঁইয়া জানান, শওকত হাসান মিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর ভাটারায় অবস্থিত ‘ইউআইটিএস’র উপাচার্যকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ৬০ কোটি টাকা চাঁদাবাজির একটি অভিযোগও রয়েছে। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি ভাটারা থানায় এই বিষয়ে মামলা দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী মোস্তফা কামাল।

ওই মামলায় গত ৮ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে পলাতক হন শওকত হাসান। ছয় সপ্তাহের জামিন নিয়ে পাঁচ মাস পর গত ২৭ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক জামিনের আবেদন করেন তিনি। ওই দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

১৫ দিন কারাগারে থাকার পর গত ১২ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরাফুজ্জামান আনসারীর আদালত থেকে তিনি জামিন পান। সেই জামিন পাওয়ার দুই সপ্তাহের ব্যবধানে তার নামে ফের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলো।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

পুরান ঢাকার কেমিক্যাল কারখানাগুলো দ্রুত সরানোর সুপারিশ

অপতথ্য রোধ করে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী