২০১৮ সালের ২০ মার্চ। ব্লাইন্ড ওয়ার্ল্ড কাপে ভারতীয় হিসেবে তিনি এক অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন ভারতের নরেশ তুম্বা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩০৮ রানে জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। সেদিন ভারতীয় দলের এই জয় ঘিরে জাতীয় স্তরে শুভেচ্ছা ও অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দু বছর পর করোনার জেরে গোটা জীবনটাই পাল্টে গিয়েছে নরেশের। পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে এখন ওই ক্রিকেটার সবজি বিক্রেতা। আহমেদাবাদের জামালপুর মার্কেটে গেলেই দেখা মিলবে ওই ক্রিকেটারকে।
যিনি দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনলেন তাকেই এখন সংসার চালাতে হয় বাজারে সবজি বিক্রি করে! দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটারের জীবন বদলে গিয়েছে। পরিবারের ঘানি টানতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন সেই ক্রিকেটার। সংসার খরচ চালাতে সবজি বিক্রি করেন তিনি। ভারতের আহমেদাবাদের জামালপুর মার্কেটে এককোণে সবজি বিক্রি করেন তিনি।
করোনা প্রকোপে অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে গিয়েছেন। ২৯ বছর বয়সী তুম্বার কাঁধে পরিবারের পাঁচজন সদস্যের পেট চালাবার দায়িত্ব। দৃষ্টিহীন হওয়ায় মেলেনি কোনো চাকরির সুযোগ। কোন রকম আর্থিক সাহায্যও পাননি তিনি।
মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্টের দিনমজুরের কাজ করে অল্প টাকা পেয়েছিলেন। কিন্তু তা দিয়ে চলতে পেরেছেন খুব অল্পদিন। বাধ্য হয়ে সংসারের হাল ধরতে শহরে এসে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে তাকে।
তুম্বার আক্ষেপ করে বলেন, ‘বিশ্বকাপ জিতে যখন ভারতীয় দল দেশের মাটিতে আসে, তখন তাদের জন্য সরকার ও রাজ্য সরকার টাকার বন্যা বইয়ে দেয়। কিন্তু আমাদের মতো অন্ধ ক্রিকেটারদের জন্য সেই উচ্ছ্বাস নেই! সমাজ আমাদের কখনওই সমান চোখে দেখে না।’