নিউজ ডেস্ক : পদক পাওয়ার সাড়ে তিন বছর পর সেই খবর গণমাধ্যমের সামনে এনে বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়াকে ‘লাফিং স্টকে’ (হাসির পাত্র) পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ উপাধি দেওয়া কানাডীয় সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস’ বিএনপির হয়ে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে আমরা দেখলাম কানাডার একটি সংগঠন, যার নাম কেউ সহজে জানে না, যার জন্মও খুব বেশিদিন আগে না, তারা তাকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ বলে সনদ দিয়েছে। এটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ২০১৭-১৮ সাল থেকে বলা শুরু করেছেন। সেটি দিয়েছে ৩১ জুলাই ২০১৮ সালে, সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি হঠাৎ জানলো খালেদা জিয়াকে এরকম একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। আসলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর। যেভাবে সাড়ে তিন বছর পর বিএনপি নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যমের সামনে এসে এ কথাগুলো বললো, সেটা হাস্যকর। বেগম খালেদা জিয়াকে একদম ‘লাফিং স্টক’ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।ড. মাহমুদ বলেন, কানাডার ফেডারেল আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে রায় দিয়েছেন। সেখানে এটাও উল্লেখ করা হয়েছিল, বিএনপি যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে, তারা ভবিষ্যতেও এরকম করতে পারে। সেখানে আবার একটি তথাকথিত হিউম্যান রাইটস অরগানাইজেশন থেকে তারা (বিএনপি) একটি সার্টিফিকেট কিনেছেন। বিএনপি একটা পদক কিনেছে, এটা আবার সাড়ে তিন বছর আগে।তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করেছিল, স্বনামে-বেনামে, আমরা বলেছিলাম। গণমাধ্যমের সামনে এটা বেশ কয়েক বার বলেছি। একটি ফার্মের সঙ্গে বিএনপি নিজের নামে চুক্তি করেছিল। কিছু কিছু লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে আবার বিদেশিদের মাধ্যমে চুক্তি করেছিল। সেখানে একটা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী হলো—যে প্রতিষ্ঠান থেকে খালেদা জিয়াকে পদক দেওয়া হয়েছে বলা হচ্ছে, অর্গানাইজেশন ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস। এটা বিএনপির পক্ষে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে। এরা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। সেখান থেকে তারা একটি সার্টিফিকেট নিয়েছেন, সেটা আবার গণমাধ্যমের সামনে দেখাচ্ছেন।ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের রাষ্ট্রদূত আজ এখানে এসেছিলেন। আমরা দ্বিপক্ষীয় অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের যে চ্যানেলগুলো আছে সেগুলোর অনেকগুলোই ত্রিপুরায় দেখা যায়। সেখানে প্রদর্শনের ক্ষেত্রে তেমন একটা প্রতিবন্ধকতা নেই। কিন্তু পশ্চিমবাংলায় এগুলো দেখা যায় না। এটাকে কীভাবে ফেসিলিটেড করা যায়, সে প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পশ্চিমবাংলায় প্রতিটি চ্যানেলের কাছ থেকে ব্রডকাস্টাররা, তারা অনেক টাকা দাবি করে। এই টাকা দিয়ে চ্যানেলগুলো প্রদর্শন করা সম্ভব নয়। এটা কীভাবে সহজ করা যায়, সেটা নিয়ে কথা হয়েছে।তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো চ্যানেল এবং পত্রিকার রিপোর্টাররা কলকাতায় কাজ করেন। অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অনেক প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। বেশির ভাগই কার্ড পান না। কাজ করার জন্য তাদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দরকার হয়। সেটি তারা যেন পান, সেটির বিষয়ে কথা হয়েছে। আমরা দুই দেশের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি সিনেমা করার চুক্তি করেছি। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে তানভীর মোকাম্মেলকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম পরিচালকের নাম দেওয়ার কথা, সেটি আমরা এখনো পাইনি। সে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কথা বলেছি।