সরকারিভাবে ধান-চাল ক্রয় এবং জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন কমিটিতে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধির নাম অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে কৃষক লীগ। আজ সোমবার দুপুরে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শোক দিবসের আলোচনা সভায় এমন লিখিত দাবি জানান কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ ও সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি।
ঢাকা মহানগর উত্তর কৃষক লীগের সভাপতি মো. মাকসুদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. হালিম খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এতে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সভাপতি সমীচ চন্দ, সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সাবেক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, মো. আবুল হোসেন, নেতা মোস্তফা কামাল চৌধুরী, আলহাজ্ব আকবর আলী চৌধুরী, অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, এ্যাড. গাজী জসিম উদ্দিন, মো. রেজাউল করিম রেজা, হিজবুল বাহার রানা, অধ্যাপক ডা. মজিবুর রহমান মিয়াজী, কৃষ্ণ গোপাল পাল, সামিউল বাসির সামিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ।
কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ বলেন, সরকার প্রতি বছর প্রায় ৮ লক্ষ টন ধান-চাল কৃষকের নিকট থেকে ক্রয় করলেও উক্ত কমিটিতে প্রকৃত কৃষক প্রতিনিধি না থাকায় প্রান্তিক কৃষক সরকারি গুদামে উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করতে পারে না। ফলে তারা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। তিনি খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ কৃষির সাথে সম্পৃক্ত যে সমস্ত মন্ত্রণালয়ের জেলা উপজেলায় সরকারি কমিটি রয়েছে। উক্ত কমিটিতে কৃষক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ কৃষক লীগ সারাদেশে কৃষি শ্রমিকের সংকটের সময় করোনাকালের মধ্যেও সারাদেশে কৃষক লীগ নেতৃবৃন্দ ধান কেটে ঝাড়াই-মাড়াই করে কৃষকের গোলায় তুলে দিয়েছেন। আষাঢ়-শ্রাবণ-ভাদ্র তিন মাসে বিশ লক্ষাধিক গাছের চারা রোপণ করেছেন এবং ৪২টি জেলায় বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে জাতীয় শোক দিবসে স্মরণ সভা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, এতিম ও অনাথদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠান করেছে। এছাড়াও কৃষক লীগের সাংগঠনিক ৭২টি জেলা এই কর্মসূচি একযোগে পালিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত ৩২টি জেলায় কৃষকদের মাঝে কৃষক লীগের উদ্যোগে সার-বীজ, খাদ্য সামগ্রীসহ কৃষি উপকরণ কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন।