নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের টার্গেট করেন দালালরা। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নাই কিংবা চিকিৎসা ভালো হবে না এমন প্রলোভনে ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে যান তারা।এরপর সে সব অখ্যাত ক্লিনিকে চিকিৎসার নামে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়।মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় অর্থপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) অভিযান চালিয়ে এমন নয় জন দালালকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)। পরে তাদের প্রত্যেককে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমান আদালত।আটকরা হলেন- মো. নাহিদুল ইসলাম (২৫), মো. সজিব (৩২), তমাল বাড়ৈ (২৪), মাসুদ রানা (৩৫), মো. হাসান (২৪), মো. শরিফ (২২), মো. রোমান (৩০), মানিক মিয়া (৩০) এবং মো. কামাল হোসেন (৪৫)।ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু জানান, র্যাব-২ এর গোয়েন্দা তথ্য ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পঙ্গু হাসপাতালে সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে দালাল চক্রের ৯ সদস্যকে আটক করা হয়। তিনি বলেন, যারা এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন, তাদের নানাভাবে ভুল বোঝানো হয়। এখানে ভালো চিকিৎসা হবে না, সিট পাবেন না কিংবা এখানে রাখলে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হবে বলতে থাকেন দালালরা। ভালো চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে সেসব রোগীদের নামসর্বস্ব বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসার নামে রোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয় মোটা অঙ্কের টাকা।তিনি আরো বলেন, অনেক দালালই গ্রেফতারের পর শাস্তিভোগ করে ফের একই কাজে জড়াচ্ছে। যদিও নিয়মিত র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি ও অভিযান পরিচালনা করে আসছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যারই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাকেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। হাসপাতালের কারো সঙ্গে দালাল চক্রের যোগসাজশ র্যাব পেয়েছে কি-না জানতে চাইলে পলাশ বসু বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত হাসপাতালের কারো সংশ্লিষ্টতা পাইনি। তবে পঙ্গুর আশপাশের অনেক নামসর্বস্ব প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেসব হাসপাতালেও অভিযান পরিচালনা করা হবে।