ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে গরম খেজুরের রসে পড়ে আশরাফুল আলম নামে সাত মাসের এক শিশুর নির্মম মৃত্যু হয়েছে।শনিবার দিনগত রাত (২৪ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।শনিবার সকালে খেজুরের রস জ্বাল দেওয়ার সময় দাদা আবুল হোসেনের (৬৫) কোল থেকে গরম পাত্রে পড়ে যায় সাত মাসের শিশু আশরাফুল। এতে তার মাথাসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ ঝলসে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
উপজেলার চর দরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চর দরবেশ এলাকায় আবুল হোসেনের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।পারিবারিক সূত্র জানায়, সকাল থেকে দক্ষিণ চর দরবেশ এলাকার বিভিন্ন গাছিদের কাছ থেকে পাটালি গুড় তৈরির জন্য রস সংগ্রহ করেন আবুল। রস বাড়িতে আনার পর আগুন জ্বালিয়ে বড় পাত্রে রস ঢেলে গরম করে গুড় তৈরি করছিলেন তার স্ত্রী।এসময় আবুল তার ছেলে মো. মাসুদের সাত মাস বয়সী ছেলে আশরাফুলকে কোলে নিয়ে চুলার পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এমন সময় হঠাৎ করে তার কোল থেকে শিশুটি গরম রসের পাত্রে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আবুল নাতিকে বাঁচাতে দুই হাত গরম রসে ঢুকিয়ে তাকে দ্রুত তুলে মাটিতে রাখেন। ততক্ষণে নাতির শরীর ও দাদার দুই হাত ঝলসে যায়।পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সাদেকুল করিম জানান, শিশু আশরাফুলের মাথাসহ শরীরের ৩৫ শতাংশ এবং আবুল হোসেনের দুই হাতসহ শরীরের ১০ শতাংশ ঝলসে গেছে।তাদের দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছিল।শিশুটির বাবা মো. মাসুদ বলেন, ‘ছেলেকে আর বাঁচানো যায়নি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃতদেহ সোনাগাজী আনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে বাবা আগের চাইতে ভালো আছেন। ’
আল-ইমরান, বগুড়া: গত ২ জুলাই দিবাগত রাতে বগুড়া সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মামলার বাদী হারুন-উর রশিদ। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন কিছুদিন পূর্বে ঢাকা জেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মোবাইল নম্বর ০১৭৬৭-৯৮৩২৩৭ ব্যবহারকারী ব্যাক্তির সাথে মামলার সাক্ষী দ্বয়ের পরিচয় হয়। সে সময়ে আলাপচারিতার এক পর্যায়ে উক্ত মোবাইল নম্বর ধারী ব্যাক্তি নিজেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে তার নাম ব্যারিস্টার শামীম রহমান বলে জানায়। সে বেশির ভাগ সময়ে ঢাকায় অবস্থান করে বলেও জানায়। সে কেন্দ্রের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সহিত যোগাযোগ করে ভালো পদ-পদবী দিতে পারবে বলে তাদের আশ্বস্ত করে।