সরকারি রাস্তা কেটে বিভিন্ন সেবা সংস্থার সরবরাহ লাইন মেরামত বা বাড়ি পর্যন্ত নেওয়ার জন্য বাড়ির মালিকদের ‘রোড কাটিং ফি’ দিতে হয়। কিন্তু জনগণের কাছ থেকে এ বাবদ আদায়কৃত টাকা জমা হয়নি সরকারি কোষাগারে।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের অফিস এ খাতে আদায়কৃত ৬৩ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না হওয়ায় অডিট আপত্তি দেয়।
সংসদীয় কমিটি এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য একটি সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করে দিয়েছে। পাশাপাশি এ বাবদ আদায়কৃত টাকা অতিদ্রুত সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
সংসদ ভবনে রবিবার অনুষ্ঠিত ‘সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি’র ২৬তম বৈঠকে এসব তথ্য পর্যালোচনা শেষে এ সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. রুস্তম আলী ফরাজী। কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, মো. আব্দুস শহীদ, মো. শহীদুজ্জামান সরকার, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জহিরুল হক ভূঞা মোহন, মনজুর হোসেন, আহসানুল ইসলাম, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, ওয়াসিকা আয়শা খান, মো. জাহিদুর রহমান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
কমিটি সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠানের অডিটে এ অনিয়ম উঠে আসলে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অফিস এ বিষয়ে অডিট আপত্তি দেয়। কমিটি এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে রোড কাটিং ফি বাবদ ৬৩ লাখ ৫১ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না হওয়ায় একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। একইসঙ্গে অডিট আপত্তি সংশ্লিষ্ট অনিয়ম, অবৈধতা ও বিধি-বিধান লঙ্ঘনের ফলে সৃষ্ট যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে বা হয়, তার প্রভাব ও দায়-দায়িত্ব উল্লেখপূর্বক পরবর্তী বৈঠকে কমিটিকে অবহিত করতে সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও রোড কাটিং ফি বাবদ প্রাপ্ত অর্থ যা ব্যাংকে জমা আছে, তা অতিদ্রুত সরকারি কোষাগারে জমা দিতে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।