গঙ্গা অববাহিকা: গঙ্গা নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল থাকতে পারে অপরদিকে পদ্মা নদীর পানির সমতল বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে। যার ফলে জুন মাসের চতুর্থ সপ্তাহে ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পপেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
মেঘনা অববাহিকা: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মেঘনা আববাহিকা ও তদসংলগ্ন ভারতের মেঘালয় ও বরাক অববাহিকায় ১৫ দিনে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং সময় বিশেষে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টিপাতের ফলে সুরমা, কুশিয়ারাসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে, সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা ইতোমধ্যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকা: চলতি মাসের শেষের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য আববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা কম।
পাউবো জানিয়েছে, বর্তমানে ১০টি নদ-নদীর পানি ১৩টি স্থানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি হাতিয়া ও চিলমারীতে, দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরীতে, ধরলার পানি কুড়্রিগামে, তিস্তার পানি ডালিয়ায়, সুরমার পানি কানাইঘাট, সিলেট ও সুনামঞ্জে, সারিগোয়াইন নদীর পানি সারিঘাটে, পুরাতন সুরমার পানি দেরাইয়ে, যাদুকাটা নদীর পানি লরেরগড়ে, সোমেশ্বরীর পানি কলমাকান্দায় ও ভুগাই নদীর পানি নাকুগাঁওয়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সবেচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে সুরমা, যাদুকাটা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি।