রোজার আগের দিনই কলার দাম বেড়ে দ্বিগুণ!

রোজার আগের দিনই কলার দাম বেড়ে দ্বিগুণ!
রাজশাহী: মানবদেহের জন্য পুষ্টিকর কলা। দামে সস্তা বলে হাতের নাগালে পাওয়া এ কলা সবারই প্রিয়।

এক সপ্তাহ আগেও কলা বিক্রি হয়েছে প্রতি হালি ১৬ থেকে ২০ টাকা। অথচ শনিবার (২ এপ্রিল) থেকে এক লাফেই কলার দাম হালি (মাঝামাঝি আকৃতির) প্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪৫ টাকায়। এ প্রতিটি কলা ৮ থেকে ১০ টাকা পিস হিসেবে এবং রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ও লক্ষ্মীপুর মোড়ের চেয়েও বেশি দামে কলা বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগের দিনেই এতো বেশি দাম বাড়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। চড়া দামের জন্য দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে চলে গেছে কলা।

বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি।  তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ আগেও বাজারে কলার সরবরাহ পর্যাপ্ত ছিল। দাম বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। শনিবার দিনের বেলাতেই বাজারে দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে কলা। রমজানের প্রথম দিনের ইফতারের জন্য অনেকে আজ আগাম কলা কিনতে ভিড় জমান বাজারে। তাদের কাছে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দাম নেন।

রমজান উপলক্ষে বিকেলে মহানগরীর সাহেববাজার করিম সুপার মার্কেটের সামনে, জিরোপয়েন্টে এবং মাস্টারপাড়া এলাকার সড়কে ভ্যানে করে অনেক বেশি ব্যবসায়ীকে কলা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে ভেতরে থাকা আড়ত এবং খুচরা দোকানগুলোতেও কলা বিক্রি হয়েছে।

সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট সড়কে কলা বিক্রি করছিলেন জব্বার আলী। জানতে চাইলে তিনি   বলেন, সরবরাহ কম এই কথা পুরোপুরি সঠিক না আংশিক সত্য। আসলে এখন কলা উৎপাদনে কৃষকদের আগের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে বলেই দাম বেশি। আর তাই কলা চাষে বর্তমানে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। বাজারে কলার সরবরাহ একটু কম। এজন্য দাম বাড়ছে। সাহেব বাজারে কলা কিনতে আসা শিশির মাহমুদ নামে একজন ক্রেতা   বলেন, ইফতারে অন্যান্য ফলের সঙ্গে কলা খুবই জনপ্রিয় খাবার। কিন্তু কলা কিনতে এসে দেখি দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। আগে দাম কম থাকলেও রোজা আসতে না আসতেই দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কলার। এবার তারা ইফতারের কয়েক ঘণ্টা আগে কলা এনে অনেক ব্যবসায়ীই বেশি দামে তা বিক্রি করছেন। বছরের অন্য সময় ২০ টাকা হালি কলা পাওয়া গেলেও এবার দ্বিগুণ দাম গুনতে হচ্ছে।

আরেক ক্রেতা আমীর হোসেন। তিনি বলেন, এই সময় কলার এতো দাম হাওয়ার কথা নয়। গরমে কলা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য বেশি দিন রাখা যায় না। কালো হয়ে যায়। তাই আগে গরমে কলার দাম কম থাকতো। কিন্তু এখন দেখছি সব উল্টো! শীতেও দাম বেশি গরমেও দাম বেশি। আর রোজার জন্য আরও বেশি। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে সুযোগ নেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। রোজা আসতে না আসতেই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এ ক্রেতা।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

রেড ক্রিসেন্টের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক উবায়দুল কবীর চৌধুরী

পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন