এ বিষয়ে বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, আমরা কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে লঞ্চ ছাড়ছি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সব লঞ্চ মালিকদের বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করলে কর্তৃপক্ষ যদি কোনো জরিমানা করে তাহলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। আমরা এবার স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কঠোর অবস্থানে আছি। আশা করছি আমরা আমাদের ওয়াদা রাখতে পারবো। তবে নৌযানে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মানানো অনেক কষ্টকর বিষয়। আজ সকালে শুধু চাঁদপুর, ভোলা, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের লঞ্চ ছেড়ে গেছে। বিকেল থেকে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন রুটে আগের রোটেশনে লঞ্চ চলাচল করবে।বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, ভোর ৬টা থেকে সকার সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলোর মধ্যে ভোলা ইলিশা গেছে ২টি, সুরেস্বর, ওয়াবদা রুটে গেছে ৪টি ও বাকিগুলো গেছে চাঁদপুর রুটে। এ পর্যন্ত চাঁদপুর থেকে এসেছে ২টি লঞ্চ।তিনি বলেন, কোভিডের মধ্যে আগেও লঞ্চ পরিচালনা করেছি। তবে যাত্রীরা সচেতন না হলে স্বাস্থ্যবিধি মানা অনেক কঠিন। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা মাস্ক পরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী এড়াতে সময়ের আগেই লঞ্চ ছেড়ে দিচ্ছি। সরঘাট টার্মিনাল থেকে নরমালি ১৫০টি লঞ্চ যাতায়াত করে। এরমধ্যে ৮০টি যায় এবং আসে ৭৫টির মতো লঞ্চ। ঈদ মৌসুমে সেখানে যায় ১২৫টির মতো লঞ্চ। আমরা এবার ঈদের আগের দিনের অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে ৩০টি অতিরিক্ত বা বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যা প্রয়োজন হলে ছাড়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মঙ্গবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বিধি-নিষেধ শিথিল করায় ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে নৌযান পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। তবে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ও অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকবে।