অপহরণের পর হত্যা, দুই মাস পর গ্রেফতার প্রধান আসামি

অপহরণের পর হত্যা, দুই মাস পর গ্রেফতার প্রধান আসামি
পুলিশ জানায়, গত ২৮ মার্চ সন্ধ্যার পর থেকে শিশু রাজাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতে তার বাবা কালামের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে অপহরণকারীরা ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এর পরপরই কালাম আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করেন। তখন এলাকার লোকজন তাকে ফোন করে জানান, তার বাড়ির চার তলার ফ্ল্যাটে আরিফুলের বেলকনিতেই বস্তাবন্দি রাজার মরদেহ পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনার পরদিন আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত রাজার বাবা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিন বলেন, ঘটনার দিনই হত্যার অভিযোগে আরিফুলের স্ত্রীকে আটক করা হয়। কিন্তু তখন থেকেই পলাতক ছিলেন আরিফুল। তিনি ওই তরুণীকে মিথ্যা স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। এরপর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যান। গত দুই মাস ধরে দ্রুত স্থান পরিবর্তন করছিলেন আরিফুল। কখনও নারায়ণগঞ্জ, কখনও গাজীপুর আবার মাওনা এলাকায় তার লোকেশন দেখাচ্ছিলো। সবশেষ প্রযুক্তির সহায়তায় পাবনায় গ্রামের বাড়িতে আরিফুলের অবস্থান শনাক্ত হয়। পরে রোববার ভোরে অভিযান চালিতে তাকে গ্রেফতার করি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আর কারো সম্পৃক্ততা আছে কি না এ জন্য আসামির রিমান্ড চাওয়া হবে। আজ দুপুরেই তাকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক আদালতে পাঠানো হবে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের ৮ মাস না পেরোতেই ভাঙন

সিন্ডিকেটের কারনে আলুর দামের উর্ধ্বগতি