তাঁরা রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের পরিস্থিতি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, মানবকেন্দ্রীক উন্নয়ন, লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন, শান্তির সংস্কৃতি ও শান্তিরক্ষা নিয়ে আলোচনা করেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এই সফরের সময় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।সাধারণ পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা ভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপ, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা এবং টেকসই উন্নয়ন অ্যাজেন্ডা-২০৩০-সহ নানা বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন।দ্বিপক্ষীয় ওই বৈঠকের পর ভলকান বজকির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।ঢাকায় অবস্থানকালে সভাপতি বজকির বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের ষষ্ঠ লেকচার প্রদান করেন, যাতে বাংলাদেশ ও জাতিসংঘের ওপর আলোকপাত করা হয়। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।দিনের শেষে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে জাতিসংঘ কান্ট্রি টিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো কিভাবে সম্পন্ন করছে, সে বিষয়ে সভাপতি বজকিরকে অবহিত করা হয়।২৬ মে সভাপতি বজকির কক্সবাজার সফর করেন। সেখানে তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো এবং আশ্রয়শিবির কর্তৃপক্ষ। রোহিঙ্গাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সভাপতি বজকির জোরের সঙ্গে বলেন, রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা বিশ্ববাসী ভুলে যায়নি এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ রোহিঙ্গাদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর।
পরে সভাপতি বজকিরকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এবং ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ ক্যাম্প ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবহিত করেন। এরপর সভাপতি বজকির ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ-এ ওয়াচ টাওয়ার থেকে আশ্রয়শিবিরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।পরে সাধারণ পরিষদের সভাপতি বজকির ক্যাম্প-৯ পরিদর্শন করেন। সম্প্রতি এই শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং শিবিরে টার্কিশ ফিল্ড হাসপাতালের সেবাসমূহ পরির্দশন করেন।জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি এরপর ইসলামাবাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার আগে ঢাকায় ফেরেন।