রাজধানীর মান্ডা এলাকায় প্রতারণার স্বীকার এক গৃহিনী

রাজধানীর মান্ডা এলাকায় প্রতারণার স্বীকার এক গৃহিনী

মোঃ রাকিব হাসান: রাজধানীর মুগদা থানার অধীনস্থ মুগদা মান্ডা এলাকায় প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন এক গৃহিনী। কৃত্তিকা রানী চক্রবর্তী (৩৯) মান্ডা এলাকার একটি ভাড়া বাসায় পরিবার সহ বাস করেন। তার স্বামী একজন সরকারী কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এই এলাকায় বসবাস করে আসছেন।গত ৩০ এপ্রিল প্রতিদিনের মতো এই গৃহিনী বাজার করার উদ্যেশ্যে বেলা ১১ টায় মান্ডা এলাকার ছাতি মসজিদ সংলগ্ন বাজারে যান। বাজার করে ফেরার পথে অজ্ঞাত এক মহিলা এসে তাকে বলেন মান্ডা হায়দার আলী স্কুলের সামনে যাকাতের টাকা দেয়া হচ্ছে এবং গৃহিনী তার সাথে গেলে অজ্ঞাত মহিলা কিছু সাহায্য পাবেন। এমতাবস্থায় গৃহিনী অজ্ঞাত ওই মহিলার সাথে যেতে না চাইলে প্রতারক চক্রের আরো এক লোক তৎক্ষনাত এসে তাকে আবারো অনুরোধ করতে থাকেন। কথোপকথনে  এক পর্যায়ে গৃহিনীর  মাথা ঝিম ঝিম অনুভব হয় এবং কিঞ্চিত অচেতন লাগে। এক পর্যায়ে মনের অজান্তেই তিনি প্রতারকদের সব প্রলোভনে রাজি হতে থাকেন।এভাবে ফাঁদে ফেলে ওই দুই প্রতারক বলেন যে গৃহিনির সাথে থাকা স্বর্ণালংকার খুলে তার ব্যাগে রাখতে। গৃহিনী তার কানের দুল, হাতের আংটি, চুড়ি সহ সকল স্বর্ণালংকার তার মোবাইল ব্যাগে রাখেন। প্রতারক চক্র গৃহিনীর হাতে থাকা ব্যাগ নিকটবর্তী একটি দোকানে রেখে যেতে অনুরোধ করেন এবং গৃহিনীও তাদের কথায় ব্যাগ দোকানে রেখে তাদের সাথে যাকাতের উদ্দেশ্যে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে গৃহিনীর ঘোর কিছুটা কেটে গেলে তিনি ওই দুই প্রতারকের সাথে যেতে অসম্মতি জানান এবং সেই দোকানে ফেরত এসে তার মোবাইল ব্যাগ চাইলে দোকানদার বলেন ব্যাগ ওই দুই লোক নিয়ে গেছে।ওই দুই প্রতারক গৃহিনীর সকল গয়না, মোবাইল সহ প্রায় ১ লক্ষ টাকার জিনিস নিয়ে পালিয়ে যান। এমতাবস্থায় গৃহিনী বাদি হয়ে অজ্ঞাত দুই প্রতারক ও দোকানদারের বিরুদ্ধে মুগদা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই এলাকার সিসি টিভি ফুটেজ গুলো চেক করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মুগদা থানার ওসি প্রলয় সাহা। এর আগেও মুগদা মান্ডা এলাকায় বিভিন্ন গৃহিনী কে অর্ধ অচেতন করে সর্বস্ব লুটে নেয়ার খবর পাওয়া গেছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণের ৮ মাস না পেরোতেই ভাঙন

সিন্ডিকেটের কারনে আলুর দামের উর্ধ্বগতি