অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে বাস, ভোগান্তি চরমে

অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে বাস, ভোগান্তি চরমে
নিজস্ব প্রতিবেদক : জনবহুল রাজধানীর বেশিরভাগ মানুষেরই চলাচলের প্রধান মাধ্যম গণপরিবহন। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়ায় অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।আর এতে অফিসগামী যাত্রীদের ভোগান্তি পৌঁছেছে চরমে।এক একটি বাস কোনো স্টপেজে আসলেই শুরু হয় শত মানুষের দৌঁড়ঝাঁপ। তবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের নির্দেশনা মানায় বেশিরভাগই বাসে ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন না। বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানতে গিয়ে পথে পথে যাত্রীদের জটলায় আর দৌঁড়ঝাঁপে কতোটা নিশ্চিত হচ্ছে এই বিধি সেই প্রশ্ন থেকেই যায়।বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে এমন বাস সংকটে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র দেখা গেছে রাজধানীর শ্যামলী, কল্যানপুর, আসাদগেট, ফার্মগেট এলাকার পথে পথে।এদিন লোকাল বাসগুলোও গেট বন্ধ করে চলাচল করতে দেখা গেছে। কোন স্টপেজে দু-একজন যাত্রী নামানোর জন্য কোন বাস দাঁড়ালেই পথে অপেক্ষমান মানুষরা বাসে উঠার চেষ্টা করেন। তীব্র ধাক্কাধাক্কি করে দু-একজন উঠতে পারেন ঠিকই, তবে দীর্ঘ অপেক্ষমান থাকতে দেখা গেছে বেশিরভাগ যাত্রীদের।এমন বাস সংকটে কেউ কেউ বেছে নিচ্ছেন সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বা বিভিন্ন অ্যাপসের মোটরসাইকেল সেবা। আবার অনেক যাত্রীকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা দিতে দেখা গেছে।দীর্ঘ অপেক্ষমান যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাভাবিক যান চলাচলের মধ্যেও অফিসের আগে ও পরে ঢাকায় বাস সংকট দেখা যায়। সিটিং সার্ভিসগুলোতেও বেশি ভাড়া দিয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে চলাচল করেন। আর এর মধ্যে বাসে অর্ধেক যাত্রী বহন করায় যাত্রীদের বিশেষ করে অফিসগামীরা আরও বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। সবকিছু খোলা রেখে বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গিয়ে যাত্রীরা এককথায় বিপদেই পড়েছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, মোড়ে মোড়ে হাজারো মানুষের জটলা বেধে বাসের জন্য অপেক্ষার জেরে কতোটা নিশ্চিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি । রাজধানীর শ্যামলীতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি অফিসে কর্মরত আজাদ নামে একজন। বাংলামোটরে যেতে অপেক্ষমান এই যাত্রী বলেন, নয়টার অফিস ধরতে বরাবরের মতো আটটার সময় বাসা থেকে বের হয়েছি। শ্যামলি বাস স্টপেজে এসে দেখি আমার মতো শত শত মানুষ। এক ঘণ্টা ধরে অনেকবার ধাক্কাধাক্কি করেও কোন বাসে উঠতে পারিনি। এ সুযোগে সিএনজি চালকরাও দ্বিগুনের বেশি ভাড়া দাবি করছে।তিঝিল যেতে অপেক্ষমান বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা এলিন আহমেদ বলেন, সবকিছু খোলা রেখে বাস বন্ধ করে দেওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। বাস চলছে কিন্তু কোনো বাসে যাত্রীরা উঠতে পারছেন না। এক একটা বাস এলে মানুষ যেভাবে ধাক্কাধাক্কি শুরু করছে এতে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাচ্ছে। বাসে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে গিয়ে পথে পথে স্বাস্থ্যবিধি আরও হুমকিতে পড়েছে। প্রায় দেড় ঘণ্টায়ও আমি বাসে উঠতে পারিনি। সাড়ে নয়টার অফিস আজকে কয়টায় ধরতে পারবো জানিনা।এদিকে, রাজধানীতে চলাচলরত প্রায় সব বাসগুলোতে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাড়তি ভাড়ায় চলাচল করতে দেখা গেছে। কিছু কিছু বাসে উঠার সময় যাত্রীদের হাতে স্যাভলন পানি দিতে দেখা গেছে।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সারা দেশে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৮ জনের মৃত্যু

কারাগারেও মাদকের আখড়া