দিনাজপুর: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের উপর হামলার ঘটনায় পাঁচ দিন পার হলেও এখনো তদন্ত শুরু করতে পারেনি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ও বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্য আসিফ মাহমুদ জানান, ৩ সেপ্টেম্বর রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব ভুঞা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।
কমিটির অপর ২ সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির এক জন প্রতিনিধি রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ৩ সেপ্টেম্বর ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবার উপর হামলার তদন্ত কমিটি গঠনের চিঠি আমি পেয়েছি। কিন্তু কমিটির প্রধান এখন পর্যন্ত তদন্তের ব্যাপারে আমাকে কোনো চিঠি দেয়নি। তাই তদন্ত কমিটির কাজ শুরু করতে পারিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। তিনি বর্তমানে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে হামলার শিকার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের বড় ভাই শেখ ফরিদউদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) মামলার আসামি রংমিস্ত্রি নবিরুল ইসলাম ও সান্টু রায়ের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নবিরুল ও সান্টু রায়ের রিমান্ড শুরু হয়েছে। এ মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামকে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক আসাদুলের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।