ধর্ষণের পৃথক মামলায় ইউপি মেম্বারসহ গ্রেফতার ২

ধর্ষণের পৃথক মামলায় ইউপি মেম্বারসহ গ্রেফতার ২

সিলেটে ধর্ষণের পৃথক ঘটনায় এক ইউপি মেম্বারসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য শাবাজ আহমদ (৩৮) ও গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পুকাশ গ্রামের মো. আব্দুর রবের ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া (৩৫)।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টায় জালালাবাদ থানার টুকেরবাজারস্থ পীরপুর জামে মসজিদের সামনে থেকে স্থানীয় এক কিশোরীকে অপহরণ করা হয়। পরে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারের এক বাসায় নিয়ে ওইদিন রাত ৯টার দিকে ইউপি সদস্য শাবাজ আহমদ কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে তার দুই সহযোগীও কিশোরীটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় কিশোরীর নগ্ন ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করেন ইউপি সদস্য শাবাজ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার কিশোরীর মা ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ঘোপাল এলাকা থেকে ইউপি সদস্য শাবাজকে গ্রেফতার করে। ধর্ষিতা কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ওসমানী হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জোর্তিময় সরকার।

এদিকে, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ৬ মাস ধরে এক বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগে আবদুল্লাহ মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে গোয়ানইঘাট থানা পুলিশ। তিনি উপজেলার পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নের পুকাশ গ্রামের মো. আবদুর রবের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, একই গ্রামের এক বিধবার সাথে পরকীয়ায় জড়ান আবদুল্লাহ মিয়া। বিধবা ওই নারীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ৬ মাস ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলেন তিনি। এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে উভয় শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করলে ওই নারীকে বিয়ে করতে বলা হয় আবদুল্লাহ মিয়াকে। কিন্তু তাতে রাজি হননি আবদুল্লাহ। পরে শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই বিধবা। বিধবার অভিযোগ পেয়ে আবদুল্লাহ মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. আবদুল আহাদ।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

সারা দেশে ‘হিট স্ট্রোকে’ ৮ জনের মৃত্যু

কারাগারেও মাদকের আখড়া