ঢাকা: আগামীতে নতুন করে নদীর পানি বাড়লেও জনবসতি প্লাবিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
তিনি বলেন, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে যে পূর্বাস আছে সেখানে বলা হয়েছে চীন ও ভারতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হচ্ছে, সেই পানি বহ্মপুত্র দিয়ে বাংলাদেশে প্রবাহিত হলে নদীগুলোর পানি বাড়বে।
তবে জনবসতি প্লাবিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আয়োজিত ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আত্মদানকারী সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক সৈয়দ শাহ আলমের পরিবারকে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ বছর তিন দফা বন্যায় দেশের ৩৩টি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছিল। এই মুহূর্তে আমাদের উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেছে এবং জোয়ারের পানিও নেমে গেছে। কোন এলাকাতেই আর বন্যা নেই। তবে অনেক জায়গাতে এখনও জলাবদ্ধতা আছে, মানুষের কিছুটা দুর্ভোগ আছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এখনো মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
ডা. এনামুর রহমান আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির হিসাবও পেয়ে গেছি। আমাদের এব ছর তিন দফা বন্যায় প্রায় ৫,৭৭২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে আন্তঃমন্ত্রণালয় ও দু্র্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভা করেছি। সেখানে এই ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে পূরণ করা যায়, সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করে মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মৌখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটা বাড়ি যেন আমরা পুনরায় নির্মাণ করে দেই। এছাড়া নদী ভাঙনের জন্য যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জাইকা থেকে আমরা ২৪৬ কোটি টাকা পেয়েছি, সেখান থেকে ১১৩ কোটি টাকা পুনর্বাসনের জন্য ব্যয় করব। আশা করছি, এ বছর যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের ক্ষতি কিছুটা হলেও আমরা পূরণ করতে পারব।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হাফিজ আহমেদ মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত প্রমুখ।
