বরিশাল: বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, নিরাপত্তার চাহিদা নিশ্চিত না হলে মানুষের মৌলিক চাহিদা অপূর্ণ রয়ে যায়। সেই নিরাপত্তার চাহিদা শতভাগ পূরণ করতে থানা এলাকায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে বিভক্ত হয়ে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা নিশ্চিত করার মাধ্যমই বিট পুলিশিং।
মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বরিশাল মেট্রোপলিটনের বন্দর থানার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ বরিশালে বিট পুলিশিং কার্যালয় উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। পরে তিনি বন্দর থানা পরিদর্শন করেন এবং থানা কম্পাউন্ডে পুলিশ সদস্যদের জন্য নতুন নির্মিত ডাইনিংরুমের উদ্বোধন করেন।
শাহাবুদ্দিন খান বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত কতিপয় পুলিশ রয়েছে আমরা সেই পুলিশ চাই না। আমরা মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার জনবান্ধব পুলিশ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পুলিশ দেখতে চাই। কারো বিরুদ্ধে কোনো অপেশাদারিত্বের অভিযোগ পেলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের ঘাম ঝরানো টাকায় আমরা বেতন রেশনসহ সব সুবিধা ভোগ করে থাকি। সেই জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে নিজেকে রাষ্ট্রের একজন কর্মচারী হিসেবে নিজেকে পরিপূর্ণ সেবক হিসেবে নিয়োজিত রেখে কাজ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে কোথাও কোনো পুলিশ অনিয়ম করছে কিনা তা জানতে বিভিন্ন অভিযোগ মাধ্যমসহ প্রতিটি থানায় প্রতিমাসে ওপেন হাউজ ডের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিএমপি কমিশনার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সত্যিকারের জনগণের পুলিশ হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা, কৃষক-শ্রমিক, মেহনতী মানুষের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরাপদ সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে পুলিশ ও জনগণের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আধুনিক পুলিশিংই বিট পুলিশিং। জনগণের সেবাদানে থানা যেমন আশ্রয়স্থল, তেমনি প্রতিটি বিট পুলিশিং কার্যালয় একেকটা সেবা স্থল। প্রতিটি বিট এলাকায় যদি নিষ্ঠার সঙ্গে দুর্নীতিমুক্ত, নির্ভেজাল সেবা দিতে পারি, অপরাধ সংগঠনের আগেই জনসম্পৃক্ততা নিয়ে অপরাধীর বিরুদ্ধে সত্যিকারের প্রতিরোধ গড়তে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের জনগণের পুলিশ হতে পারবো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনবান্ধব পুলিশ উপহার দিতে চাই। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এ বিট পুলিশি সেবার মাধ্যমেই জনগণ তার কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিএমপি কমিশনারের সঙ্গে এসব কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম, উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন অ্যান্ড প্রসিকিউশন) মো. জুলফিকার আলী হায়দার, উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোক্তার হোসেন (সেবা), অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অপারেশন প্রসিকিউশন) মোহাম্মদ আকরামুল হাসান, সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার) মো. আব্দুল হালিম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর থানা) প্রকৌশলী মো. শাহেদ আহমেদ চৌধুরী।