দুমকি(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ৩ টায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হাসিব মোঃ তুষার এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো -ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান ও ট্রেজারার প্রফেসর মোঃ আব্দুল লতিফ।
রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোঃ মামুন অর রশিদ এর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এলএলএ অনুষদের ডিন প্রফেসর মোঃ জামাল হোসেন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ জিল্লুর রহমান, সিনিয়র ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম টিটো, সহকারী অধ্যাপক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোঃ আবুবকর ছিদ্দিক, সহকারী রেজিস্ট্রার মোঃ রিয়াজ কাঞ্চন শহীদ, শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ও সোহেল রানা জনি, কর্মচারী মোঃ মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসানসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র আল কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন পবিপ্রবি’র কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মোঃ আবদুল কুদ্দুস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদী চক্রের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয় বুকে নিয়ে সিপাহী-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্ত্বা লাভ করে। এই দিন থেকেই বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। বিগত আওয়ামী লীগ শাসন আমলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ছাড়াও হাজার হাজার নেতাকর্মীকে সাজা দেয়া হয়েছে। আগামির রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান সব ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা মামলা মোকাবেলা করে বীরের বেশে বাংলাদেশে ফিরবেন ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।