অধিকার রক্ষায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন বিভিন্ন সময়ে গ্রামীনফোন থেকে চাকরী হারানো কয়েকশত কর্মকর্তা কর্মচারী। বছরের পর বছর মামলা ঝুলিয়ে রেখে নিয়োজিত কর্মীদের ন্যায্য বেতন ভাতা বন্ধ ও সকল আইনী অধিকার থেকে বঞ্চিত কর্মীদের সপক্ষে এই মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী গ্রামীণফোনের কর্মচারীরা। গত ১২ আগস্ট (সোমবার) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত জিপি হাউসের সামনে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন গ্রামীণফোন কর্মচারী ইউনিয়নের সহ সভাপতি রাসুলুল আমীন মুরাদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কমিউনিকেশন সেক্রেটারি আদিবা জেরিন চৌধুরী, আজাহার ইসলাম, শাহরিয়ার মর্তুজা, শাহজাহান শাহ, আসাদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান সহ আরো অনেকে।
মানবন্ধনে বক্তৃতা দেয়ার সময় রাসুলুল আমিন মুরাদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন না করে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ যে ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে, তা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ ও সরকারের প্রতি অসম্মানজনক ও ন্যক্কারজনক। ফ্যাসিস্ট কর্তৃপক্ষের বেআইনি ছাঁটাই, অবৈধ লকআউট ও অসৎ শ্রম আচরণসহ সব অবৈধ ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। একই সঙ্গে ছাঁটাইয়ের শিকার ২০২ জন কর্মীকে পুনর্বহালের ব্যাবস্থা গ্রহণ ও নির্দেশনা প্রদানের জন্য বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা জানান, ২০১২ সালের ২৪ জুলাই শুধু মাত্র ট্রেড ইউনিয়ন আবেদন করার অপরাধে ২১৩ জন কর্মীকে বেআইনিভাবে কোনোরকম আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে সরাসরি চাকরিচ্যুত করেছিল গ্রামীণফোন লিমিটেড। এদের মধ্যে থেকে ২২ জন কর্মী এই অন্যায় ও বৈষম্যের প্রতি মাথানত না করে আপোসহীন থেকে বিগত ১৩ বছর ধরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিভিন্ন আদালতে আইনি যুদ্ধ চালিয়ে আসছেন। অপরদিকে অপারেটরটি বিগত সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে বছরের পর বছর ধরে আইনের প্রক্রিয়াগুলোকে সুকৌশলে প্রলম্বিত করছে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।