প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি:
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাদারীপুর জেলায় প্রথম ধাপে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো মাদারীপুর সদর, রাজৈর ও শিবচর। ইতোমধ্যে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট সাতজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মাদারীপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আসিবুর রহমান খান ও পাভেলুর রহমান খান (শফিক)। রাজৈরে মো রেজাউল করিম শাহীন চৌধুরী, হাজী মহসিন মিয়া ও আল- আমিন মোল্লা। শিবচরে ডা: মোঃ সেলিম মিয়া ও ফাহিমা আক্তার ।তার মধ্যে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাচন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ উপজেলায় প্রার্থী হয়েছেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে আসিবুর রহমান খান এবং চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান খান (শফিক)। আর কোনো প্রার্থী না থাকায় এই দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদর উপজেলা নির্বাচনের সমীকরণ জটিল হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সুধী মহল।
জানা যায়, শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্য ও তার চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান এই উপজেলার দুবারের চেয়ারম্যান ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। চাচা-ভাতিজার লড়াই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগ দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ায় সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা- সমালোচনা। একটি পক্ষ শাজাহান খানের অনুসারী, আরেকটি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ দুটি অংশে বিভক্ত। পাভেলুর রহমান শাজাহান খানের চাচাতো ভাই হলেও তিনি বাহাউদ্দিন নাছিমের অনুসারী।
আসিবুর রহমান বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি ও দলের প্রতিনিধিরা আমাকে প্রার্থী করেছেন। জনসেবায় জনগণের আস্থা রয়েছে আমাদের পরিবারের ওপর, তাই বিজয়ী হব বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।’ অন্যদিকে পাভেলুর রহমান বলেন, ‘কোনো এমপির ছেলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। দুবার উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলাম। আশা রাখি এবারও বিজয়ী হব।’
উল্লেখ্য, ১৫ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ৪ শত ২৬। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৬ হাজার ও মহিলা ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪২১, হিজড়া ৫। মোট ভোট কেন্দ্র ১১৭। আগামী ৮ই মে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ৬ষ্ঠ ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।