বিনোদন ডেস্ক:: ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমুর মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাঁর প্রেমিক মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে (৩৬) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হোসেন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
রুফির পক্ষে আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই নওশের আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনায় হিমুর খালা নাহিদ আক্তার জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফিকে আসামি করে মামলাটি করেন।
মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, রুফি হিমুর প্রেমিক। ৬ মাস আগে থেকে রুফি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত করেন এবং মাঝে মধ্যে বাসায় রাতে থাকতেন। গত বুধবার রুফির মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক করেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় গিয়ে কলিংবেল দিলে মেকআপ আর্টিস্ট মিহির বাসার মেইন দরজা খুলে দেন। এরপর রুফি বাসার ভেতরে ঢোকেন। মিহির তাঁর রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তখন মিহির তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন রুফি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান।
ওই সময় হিমু রুমের সিলিং ফ্যানের হুকের সঙ্গে রশি লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে ঢুকে গলায় রশি লাগানো ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাঁকে পান। রুমে থাকা দুটি কাঁচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। দ্রুতই তাঁরা দুজন হিমুকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে হিমুকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন রুফি হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুইটি নিয়ে কৌশলে চলে যান।
নাহিদা আক্তার মামলায় অভিযোগ করেন, হিমু রুফির মোবাইল নাম্বার ও ভিগো আইডি ব্লক দেন। ওই বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হলে রুফি হিমুকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে বাথরুমে প্রবেশ করেন। হিমু বিকেল ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে কোনো এক সময়ে রাগে ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।