আশিকুর রহমান(স্টাফ রিপোর্টার): নরসিংদীর সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ ফারুক মিয়ার উপর নুরুজ্জামান গংদের আতর্কিত হামলা করে ফারুক মিয়া ও তার সহযোগী সহ ২ জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক পৌনে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নজরপুর ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে শালিস-দরবার হওয়ার কথা ছিলো। ওই শালিসি-দরবারে বিবাদী নুরুজ্জামান উপস্থিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তিনি উপস্থিত না হয়ে তার লোকজনের মাধ্যমে ইউপি সদস্য ফারুক সহ দরবারীদের হুমকি দেয়। পরে ফারুক মেম্বার সহ অন্যান্যরা শালিস-দরবার না করে চলে আসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নবীপুর গ্রামের মৃত মোঃ করিম মিয়ার ছেলে নুরুজ্জামান, তার ভাই আলামিন মিয়া ও ইয়ার হোসেন সহ ১০/১২ জনের একটি দল রামদা, কুড়াল, চাপাতি, লোহার পাইপ, লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বালুয়াঘাট বাজারে ফারুক মেম্বারের অফিসে আতর্কিত হামলা চালিয়ে ফারুক মেম্বার ও তার সহযোগী ফখরুল ইসলামকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোক এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তকারীরা পালিয়ে যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপালে পাঠানো হয়।
ফারুক মেম্বার বলেন, নবীপুর গ্রামের লিলি বেগম ও মৃত করিম মিয়ার ছেলে নুরুজ্জামানদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। ইউপি চেয়ারম্যান সাব আমাকে ও ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার অলিকে দায়িত্ব দেন শালিসি-দরবারের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য। ওইদিন শালিসি-দরবারের ধার্য্য তারিখে বাদী লিলি বেগম উপস্থিত থাকলেও বিবাদী নুরুজ্জামান উপস্থিত না হয়ে তার লোকজনের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করে। পরে আমরা ওইখান থেকে চলে আসি। এতে করে সে আমার প্রতি ক্ষুদ্ধ হয়ে তার দলবল নিয়ে আমার অফিসে হামলা করে এবং আমাকে ও আমার সহযোগী ফখরুলকে কুপিয়ে, পিটিয়ে আহত করে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন বলেন, শুনেছি নবীপুর গ্রামের লিলি বেগম ও নুরুজ্জামানদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ মিটানোর জন্য অলি মেম্বার ও ফারুক মেম্বার এ দুইজনকে দায়িত্ব দেন স্বপন চেয়ারম্যান। কিন্তু দরবারে নুরুজ্জামান উপস্থিত না হয়ে রাত প্রায় পৌঁনে ১১টার দিকে তার দলবল নিয়ে ফারুক মেম্বারের অফিসে হামলা করে এবং ফারুক মেম্বার সহ দুইজনকে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুইজনকে উদ্ধার করে দ্রুত নরসিংদী সদর হাসপালে পাঠাই। এ ঘটনার পর থেকে দুই/তিন গ্রামের লোকজন জড়ো হচ্ছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা আতংকে আছি, যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটে পারে বলে আশঙ্কা করছি। চাই প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ।
এবিষয়ে জানতে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, ঘটনা শুনার সাথে সাথে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য নবীপুর ও আশপাশের এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। অভিযোগ হাতে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনগত ব্যবস্হা নিবো।