জুয়েল রানা(পাবনা প্রতিনিধি): এগিয়ে আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আসন্ন এ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে রাজনৈতিক দল ও দলের নেতৃবৃন্দের নানা রকম জলপনা-কল্পনা। শুধুমাত্র দল বা দলের নেতাকর্মীই নয় সাধারণ জনগণেরও রয়েছে নানা ধরণের উন্মাদনা। অনেক নেতৃবৃন্দ হয়তো ভুলতেই বসেছে এই সাধারণ জনগণের ভালোবাসা পুঁজি করেই নেতা হতে হয়, হতে হয় স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। কিন্তু কিছু সংখ্যক নেতা গুটি কয়েক উঠতি বয়সী যুবকের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে দাপটের সাথে রাজনৈতিক ক্ষমতা দেখিয়ে থাকে, হানি করে থাকে দলের সম্মান।
প্রকৃত পক্ষে এদেরকে কেউ ভালোবাসে না, এদেরকে ভয়ও পায় না। সাধারণ মানুষ, সাধারণ জীবনমান। তাই স্বাভাবিক জীবনযাপন করে আর মন থেকে ধিক্কার জানিয়ে থাকে ঐ সকল নেতাকর্মীদেরকে। যারা অর্থ লোপাটে রাজনীতি করে থাকে। তবে এবারের নির্বাচনে কিছুটা সোচ্ছার দেখা যাচ্ছে সাধারণ জনগণকেও। সাধারণ জনগণেরও রয়েছে কিছু প্রত্যাশা। তারাও আর নিরবে কিছু সহ্য করতে যেন অভ্যস্ত নয়।
বিশেষ করে নির্বাচনী এলাকা ৬৯ পাবনা-২ আসনের জনগণ দলমত নির্বিশেষে চায় এবার অন্তত একজন স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাদের সকলের দাবী যিনি আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী, যিনি সুজানগর, আমিনপুরের মানুষকে চিনিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগ, তিনি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মজিবুর রহমান (সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান)। এ নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থান পর্যালোচনা করে সাধারণ মানুষের বক্তব্যে উঠে আসে, ”ড. মুজিবুর রহমান ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতায় থাকা বিএনপির নিপীড়ন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি আর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে একাই বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন। বজ্রপাতের মতো আওয়াজ তোলেন ’হঠাও দুঃশাসন, বাঁচাও দেশ’। এই স্লোগানে হৃদয় কম্পিত হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতি সঞ্চারিত হয়েছিল পাবনা বাসীর অবাধ ভালোবাসা ও গণজাগরণ। এলাকাবাসী স্বপ্ন দেখেছিল ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মুজিবুর রহমান নৌকার মাঝি হবেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন পান এয়ারভাইস মার্শাল এ.কে খন্দকার। তখন সাধারণ জনগণ প্রত্যাশা করে পরবর্তীতে ড. মজিবুর রহমান-ই হবেন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নৌকার মাঝি। এই প্রত্যাশা বুকে আগলে রেখে সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ ড. মজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এক হয়ে আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব চাঙ্গা করে এ.কে খন্দকারকে জয় লাভ করান ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। আওয়ামীলীগ সংখ্যা গরিষ্ঠতায় সরকার গঠন করে। শেষ হয় ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন । চলে গেল ৫টি বছর। ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সাড়া পড়লো শহর, পাড়া-মহল্লায়। সাধারণ জনগণের মনের কোণে লালিত স্বপ্ন নতুন করে কড়া নাড়লো। কিন্তু সেবারেও হলো না ড. মজিবুর রহমান নৌকার মাঝি। এভাবে আরো ৫টি বছর কেটে গেল।
ধেয়ে আসলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। পুনরাবৃত্তি হলো ঐ একই অবস্থার। বারে বারে আসলো নতুন মুখ, নতুন রাজনীতিবিদ। দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা স্থানীয় জনগণ শুধু হতাশাই প্রকাশ করতে লাগলো। কিন্তু প্রিয় মুখ, প্রিয় মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ছিল যে মানুষটির নাম তাঁকে দেওয়া হলো একবারর জন্যেও দলীয় মনোনয়ন। এলাকার কত মায়ের সন্তান ১৫আগস্টে মাইকে বেজে ওঠা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে ভাবতো এই ভাষণ ড. মজিবুর রহমানের। ইনিই বুঝি শেখ মুজিবুর রহমান। তারা জানতো না যে, বঙ্গবন্ধু আর নেই, রয়েছে গেছে বঙ্গবন্ধুর অমর কীর্তি, স্মৃতি আর আদর্শ। ১৫ই আগস্ট হলেই ড. মজিবুর রহমান নিজ এলাকায় আসতেন, বড় বড় কর্মসূচি পালন করতেন। এছাড়াও এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অনেক ভালো ভালো কাজ করেন। । শিশু ছেলেগুলো প্রারম্ভিক জীবনে হাজারো জনতার ভীড়ে ড. মজিবুর রহমানকে দেখার সুযোগ পায়নি। তাইতো একই ব্যক্তি ভেবে ড. মজিবুর রহমানের ভালো কাজের দরুণ পরবর্তী জীবনে তারা বঙ্গবন্ধুকে জানতে আগ্রহী হয়। সেই প্রজন্ম মনেপ্রাণে বঙ্গবন্ধুকে জানতে সক্ষম হয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে হয়ে ওঠে দেশপ্রেমিক, ভালোবাসতে শেখে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে, ভালোবাসে নিজ মাটির সন্তান ড. মজিবুর রহমানকে। আজ সকলের একটাই দাবি ও প্রত্যাশা, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও তাদের কাঙ্গিত স্বপ্ন পূরণে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬৯ পাবনা-২ এর নৌকার মাঝি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মজিবুর রহমানকেই মনোনয়ন দিবেন। এলাকাবাসী আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে এমনটাই আশা করছে।