ইমাম মাহাদি দাবি করা এক সৌদি প্রবাসীকে গ্রেফতারে খুঁজছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগ (সিটিটিসি)।
এই প্রবাসীর নাম মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান। তিনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের বিতর্কিত কার্যক্রম চালাচ্ছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়। মামলায় বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান দীর্ঘদিন ধরে ইউটিউব, ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে ইসলাম ধর্মের অপব্যাখা, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচার করে আসছেন। তিনি নিজেকে ইমাম মাহাদি দাবি করেন।
নিজেকে মহানবি হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর বংশধর হিসেবে দাবি করেন এই প্রবাসী। এছাড়া স্বপ্নযোগে ইমাম মাহদি হিসেবে ঘোষিত হওর বার্তা পান বলে বিভ্রান্তমূলক দাবি করেন।
তার ‘তাকওয়া অনলাইন টিভি’সহ অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল এবং ‘মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে এগুলো প্রচার করা হচ্ছিল। সেখানে তিনি দাবি করেন, ইমাম মাহদির ‘বায়াত’ সম্পন্ন হয়েছে। তার কাছে কথিত ‘বায়াত’ গ্রহণের কথা বলেন।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, ওই ব্যক্তির এ ধরনের বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে তার কাছে কথিত ‘বায়াত’ গ্রহণ করে জিহাদে অংশ নিতে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন।
এ ঘটনায় ৪ মে ১৭ জন এবং ৭ মে দুজনসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ইমাম মাহাদীর পরিচয় ধারণ করে এ ধরনের অসত্য, বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেশের ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এতে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
২০০৬ সালে মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন বলে জানা গেছে।
এরপর মালয়েশিয়া থেকে স্থাপত্য বিদ্যায় ডিগ্রি নেন। ২০১৬ সালে উগান্ডা গিয়ে এক মাস অবস্থান করেন। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তিনি সৌদি আরব গিয়ে নিজেকে কথিত ইমাম মাহদি দাবি করেন।
মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান এখন দেশে, নাকি দেশের বাইরে রয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার অবস্থান শনাক্তের করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।