৭৩ বছর পরও স্বাধীনতার জন্যও ধুঁকছে পাকিস্তান, কেননা খায়বার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান, সিন্ধু, গিলগিত-বালতিস্তান এবং অন্য অঞ্চল এখনো স্বাধীনতা অর্জন করেনি।
পাকিস্তানের সাংবাদিক এবং মানবাধিকার কর্মী মারভি সিরমেদ এ মন্তব্য করেন।
১৪ আগস্ট পাকিস্তানের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে তিনি বলেন, ‘অস্তিত্বের ৭৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো স্বাধীনতার জন্য ধুঁকছে পাকিস্তান। খায়বার পাখতুনখোয়া, বেলুচিস্তান, সিন্ধু, গিলগিত-বালতিস্তান, পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরের মানুষ এবং সেনাবাহিনী, সংবাদমাধ্যম, সংসদ, হাজারও নিখোঁজ মানুষ— কেউই স্বাধীন নয়। শুভ জন্মদিন, পাকিস্তান!’
দেশটির যখন শিয়া, আহমাদি, হিন্দু, শিখ এবং খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘুদের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক বিদ্যমান, তখন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বাধীনতা দিবসে জাতির উদ্দেশে ভাষণে আবারও কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরের বিষয়টি উত্থাপনের কয়েক ঘণ্টা আগে পেশোয়ারে আহমাদি এক প্রবীণকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বছরের পর বছর ধরে বেলুচ, পশতুন, মহাজির, কাশ্মীরি, বালতি, খ্রিস্টান এবং হিন্দুদের মতো পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সরকার ও সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
শুক্রবার করাচি প্রেসক্লাবের সামনে ভয়েস ফর সিন্ধি মিসিং পারসন্স এবং অন্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো নিখোঁজ সিন্ধু মানুষদের পরিবারের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় তারা স্লোগান দেন, ‘এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পেছনে উর্দি পরা লোকেরা (সেনাবাহিনী) রয়েছে। ’
পাকিস্তানি পুলিশ বলপ্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের দমন করে।