স্পোর্টস ডেস্ক : ম্যাচের প্রায় অর্ধেক সময় দশ জন নিয়ে খেললো ব্রাজিল। সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্রাজিলের রক্ষণে ক্রমাগত আক্রমণ শানিয়ে গেল চিলি। তবে শেষ পর্যন্ত কষ্টার্জিত এক জয়ে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে উঠলো তিতের শিষ্যরা। রিও দে জেনেইরোর নিল্তন সান্তোস স্টেডিয়ামে শনিবার ভোরে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলটি করেন লুকাস পাকুয়েতা। এর দুই মিনিট পরেই স্ট্রাইকার গ্যাব্রিয়েল জেসুস লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ব্রাজিল। আগেই শেষ আট নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্রামে ছিলেন নেইমার-কাসেমিরোরা। চিলির বিপক্ষে আট পরিবর্তন এনে তাদের দুজনকেই ফেরান ব্রাজিল কোচ। অন্যদিকে চিলি নামে দলে তিনটি পরিবর্তন এনে। দলে ফেরেন এরিক পুলগার ও সেবাস্তিয়ান ভেগাস। চোট কাটিয়ে ফেরেন আলেক্সিস সানচেস।শেষ আটে বি-গ্রুপের এক নম্বর দল ব্রাজিলকে শুরু থেকেই চাপে রাখার চেষ্টা করে এ-গ্রুপের চার নম্বর দল চিলি। ম্যাচের দশম মিনিটে প্রথমবার যথাযথ আক্রমণে ওঠে তারা। যদিও ভার্গাসের শট প্রতিহত করেন এদারসন। ৫ মিনিট পর লেফট উইং থেকে ব্রাজিলের রিচার্লিসনের দূরপাল্লার শটে বল সরাসরি চলে যায় ব্র্যাভোর গ্লাভসে। ২৭তম মিনিটে ভার্গাসের শট প্রতিহত করেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।ব্রাজিল প্রথম বড় সুযোগ পায় ৩২তম মিনিটে। চিলির রক্ষণের ভুলে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যান দানিলো। বক্সের সামনে থেকে গোলে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ৪৩তম মিনিটে জেসুসের শট কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান চিলির গোলরক্ষক। বাকি সময়ে দুই দলই গোলমুখ খুলতে ব্যর্থ হলে বিরতিতে ম্যাচ গোলশূন্য থাকে।দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন ফিরমিনোর বদলি হিসেবে নামা পাকুয়েতা। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে পরাস্ত করেন তিনি। এর দুই মিনিট পর হাই ফুটের জন্য সরাসরি লাল কার্ড দেখেন জেসুস। অনেক উপরে পা তুলে বলের নিয়ন্ত্রক নিতে গেলে তার বুট গিয়ে লাগে ইউজেনিও মেনার মুখে। বিপজ্জনক ফাউলের জন্য তাকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।১০ জনের ব্রাজিলকে চাপে ফেলতে আগ্রাসী ফুটবল খেলার চেষ্টা চালায় চিলি। কিছুক্ষণ পর চিলির হয়ে ফ্রি-কিক জেতেন আরাংগুইজ। ফ্রি-কিক থেকে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দিলেও অফসাইডের জন্য তা বাতিল করেন রেফারি।পুরো ম্যাচে অনেকটা নিষ্প্রভ থাকা নেইমার দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি ক্ষিপ্রগতিতে চিলির রক্ষণে ঢুকে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু তার শট প্রতিহত করেন ব্র্যাভো। এরপর চিলির শট বারে লেগে ফিরে আসে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিলির আক্রমণের ধার আরও বাড়তে থাকে। তবে বল দখলের লড়াইয়ে চিলি অনেকটা এগিয়ে থাকলেও ব্রাজিলের জমাট রক্ষণ তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। বরং ম্যাচের শেষদিকে বড় সুযোগ নষ্ট হয় ব্রাজিলের। নেইমারের পাস কন্ট্রোল করতে ব্যর্থ হন পাকুয়েতা।