স্ত্রীর ভোটটিও পেলেন না তিনি

স্ত্রীর ভোটটিও পেলেন না তিনি
তাল গাছ প্রতীক নিয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাসদ সভাপতি আবুল খায়ের পেয়েছেন ৯৬ ভোট।

এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আটজন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দু্পুর ২টা পর্যন্ত প্রতিটি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইভিএমে একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ৪৯২ জনের মধ্যে ৪৮৭ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত নির্বাচনী ফলাফল শিট থেকে জানা যায়, এ নির্বাচনে পাঁচ উপজেলায় মোট সাতজন প্রার্থী কোনো ভোট পাননি।

একটি ভোটও না পাওয়া সদস্য প্রার্থীরা হলেন-জয়পুরহাট সদর উপজেলায় মাসুদ রানা রোজ (তার প্রতীক ছিল অটোরিকশা), পাঁচবিবি উপজেলায় ফারুক হোসেন ইব্রাহীম (তার প্রতীক ছিল টিউবয়েল), কালাই উপজেলায় ছানোয়ার হোসেন (তার প্রতীক ছিল টিউবয়েল), ক্ষেতলাল উপজেলায় এসএম তুহিন ইসলাম (তার প্রতীক ছিল উট পাখি), আজিজুল হক (তার প্রতীক ছিল ক্রিকেট ব্যাট), আক্কেলপুর উপজেলায় গোলাম মোস্তফা (তার প্রতীক ছিল তালা) ও মাহমুদুল হাসান (তার প্রতীক ছিল হাতি)।

জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলায় ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী আজিজুল হকের স্ত্রী সাজেদা বেগম ক্ষেতলাল পৌরসভার ৭,৮,৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর। অথচ এ প্রার্থী তার স্ত্রীর ভোটটিও পাননি।

এ ব্যাপারে জানতে সদস্য প্রার্থী আজিজুল হকের মোবাইল ফোনে বার বার কল দেওয়া হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে তার স্ত্রী সাজেদা বেগম ফোনে বলেন, আমার স্বামী আজিজুল হক ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আর এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মোট তিনজন প্রার্থী সাধারণ সদস্য পদে মাঠে থাকার কারণে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আমরা নিরপেক্ষ থেকেছি। যে কারণে আমার স্বামীকে আমার ভোটটিও দিতে পারিনি।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন: রাষ্ট্রপতি

সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই: খুরশিদ আলম