আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হার স্বীকার না করে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে আইনি লড়াই শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। প্রিয় নেতাকে সমর্থন দিতে একই অভিযোগে শনিবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। গত ৩ নভেম্বর ভোটের পর ৭ নভেম্বর ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেন প্রয়োজনীয় ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে পেয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে হার স্বীকার করবেন না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন। গত সোমবার ট্রাম্প শিবির নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আদালতে আইনি লড়াইও শুরু করেছে। এদিকে ৭ নভেম্বর থেকেই ট্রাম্প সমর্থকরা দেশজুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে খণ্ড খণ্ড মিছিল বের করে ‘ভোট চুরির’ অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছিল। এবার তারা ওয়াশিংটনে একজোট হয়ে রাস্তায় নামার পরিকল্পনা করেছে। ওই দলে ট্রাম্প সমর্থক, চরম ডানপন্থি, ‘ওথ কিপার্স’ মিলিশিয়া এবং ‘প্রাউড বয়েজ’ এর সদস্যরা স্থানীয় সময় শনিবারের ওই বিক্ষোভর্যালিতে যোগ দেবেন।
বিক্ষোভর্যালির আয়োজকরা একে কখনো ‘মিলিয়ন মেগা (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) মার্চ’ কখনো ‘মার্চ ফর ট্রাম্প’ বা কখনো ‘স্টপ দ্য স্টিল’ বলছেন। ট্রাম্প ওই বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন। এদিকে বামপন্থি কয়েকটি গ্রুপ ট্রাম্পের সমর্থকদের ওই র্যালির বিরুদ্ধে পাল্টা র্যালি করার পরিকল্পনাও করেছে। ফলে দুই গ্রুপ মুখোমুখি হয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। টুইটারে একের পর এক পোস্ট দিয়ে গেলেও ৭ নভেম্বরের পর ট্রাম্পকে কোনো আনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। শুক্রবার তিনি প্রথম একটি অনুষ্ঠানে হাজির হন। তার প্রশাসনের করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের ওই ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পকে খানিকটা বিমর্ষ দেখালেও নিজের পরাজয় স্বীকার করেননি বা জো বাইডেনের নাম মুখে আনেননি। হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে তিনি বলে, “(জানুয়ারিতে)এই প্রশাসন লকডাউন দেবে না। ভবিষ্যতে যাই ঘটুক না কেন, কে জানে সেটা কোন প্রশাসন হবে। আমার ধারণা, সময়ই সে কথা বলবে।” রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট এদিন সাংবাদিকদের কাছ থেকে কোনো প্রশ্ন নেননি। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন।