সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ২০৩০ সালের মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে

সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ২০৩০ সালের মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্য সরকার দীর্ঘমেয়াদে নারী-শিশুদের সুরক্ষার জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সবাই সহযোগিতা করলে নারী ও শিশু নির্যাতন একদিন অবশ্যই বন্ধ করে যাবে। তাই আসুন সবাই একসাথে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করি। এসময় তিনি বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে শিশুদেরকে নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার আহবান জানান।

জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২০ উপলক্ষে আজ আয়োজিত এক সভায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম-এর যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। পরে ‘আমরা সবাই সোচ্চার, বিশ্ব হবে সমতার’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবার কন্যাশিশু দিবসের রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় বিজয়ী কন্যাশিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সভায় ক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন, যুগ্ন সচিব মোহিবুজ্জামান, জাতীয় মহিলা সংস্থা চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টোরাল প্রোগ্রামের পরিচালক ড. আবুল হোসেন, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাছিমা আক্তার জলি নারীমৈত্রীর  নির্বাহী পরিচালক শাহিন আক্তার ডলি প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পারভীন আকতার।

নাছিমা আক্তার জলি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমাদের দেশে কন্যাশিশুদের অবস্থা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভালো নয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কন্যাশিশুদের প্রতি বিভিন্নমুখী বঞ্চনা ও বৈষম্য বেড়ে চলেছে। মোহাম্মদ মোহিবুজ্জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করছেন সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে আমরা এই পরিসস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে পারব। ড. আবুল হোসেন বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সাম্প্রতিক সময়ে ঘটা বিভিন্ন সহিংসতা আমাদেরকে বিব্রত করছে। মানুষের মানসিক জগতের পরিবর্তন করতে না পারলে এসব ঘটনার কোনো সমাধান হবে না। তাই স্থানীয় পর্যায়ে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। শাহীন আক্তার ডলি বলেন, সরকার কন্যাশিশুর সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন করেছে। শুধু সরকারের একার পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয়। বেসরকারি উদ্যোগকে আরো জোরালো করে তুলতে হবে। চেমন আরা তৈয়ব বলেন, কন্যাশিশুরা জন্মের পরপরই প্রথমে পরিবারেই অবহেলিত হয়। পরিবারে কন্যাশিশুরা যেন মর্যাদা পায় সে বিষয়ে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। শৈশব হচ্ছে পরিপূর্ণ মানুষ হবার মূল ভিত্তি।

 

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

দেড় বছর ধরে অনুপস্থিত নীলফামারীর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুই চিকিৎসক

ঋণের প্রলোভনে ঢাকায় যাওয়ার পথে ভূঞাপুর থানায় গোপালপুরের ৬ জন আটক