ঢাকা: রাষ্ট্রীয় মদতে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যখনই কোনও ঘটনা ঘটে তখনই মন্ত্রীরা বিএনপি-জামায়াতের ওপর দায় চাপানো চেষ্টা করেন। ফলে অপরাধীরা আরও বেশি আশকারা পেয়ে যায়, আরও বড় অপরাধ সংঘটিত করে।
জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘শহীদ জিয়ার রাজনৈতিক দর্শন, ধর্মীয় মূল্যবোধ ও আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, যখন প্রধানমন্ত্রী বলেন বেড রুমে পাহারা দিতে পারবো না, তখন অপরাধীরা আশকারা পেয়ে যায়। যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন পৃথিবীর সবদেশে ধর্ষণ হয় তখন এরা আশকারা পেয়ে যায়। যখন তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর সঙ্গে বিএনপি-জামায়াত জড়িত তখন অপরাধীরা আরও আশকারা পেয়ে অপরাধ বাড়িয়ে দেয়। নারীর সম্ভ্রম হানির ঘটনা আওয়ামী লীগের আমলে বিস্তার লাভ করছে। প্রতিবছর বীভৎসতা বাড়ছে। আপনারা দেখবেন এ বছরের যে বীভৎস্যতা সেটা আগামী বছর আরও তীব্র রূপ নিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, এখন একেকটি ঘটনা আর একটি ঘটনাকে চাপা দিয়ে দিচ্ছে। একজন জেলা পর্যায়ের ছাত্রলীগ নেতা দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। আবরারের বাবা কোর্টে কাঁদছেন। এগুলো ঢাকার জন্য আবার এমসি কলেজের ঘটনা। এখন মানুষ ক্ষুব্দ, আতঙ্কিত। যাদের একটু সচ্ছলতা আছে তারা অনেকেই বলছে আমরা দেশ ছেড়ে চলে যাবো, এ দেশে আর বসবাস করতে পারবো না। কারণ এ দেশে একটি ইউনিয়নে ঘটনা হয়, জেলা প্রশাসন ৩২দিন জানে না। যার সম্ভ্রমহানির ঘটনা ঘটেছে সে ভয়ে প্রশাসনের কাছে যায় না। এ রকম রাষ্ট্র তৈরির করার জন্য কি ৩০ লাখ মানুষ আত্মদান করেছিল? আজকে সবাই এ প্রশ্ন করছে। আর এগুলোকে মদদ দিচ্ছে-আশ্রয় দিচ্ছে মন্ত্রীরা। একাজ আর চলতে পারে না। যারা মিনিমাম গণতন্ত্র চায়, তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
ওলামা দলের আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ নেছারুল হকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।