ওয়াসিফুর রহমান, ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমরা পিছিয়ে পড়া ইবির অগ্রগতির জন্য কাজ করছি। আমরা পুরো ক্যাম্পাসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কাজ করে চলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়টাকে ডিজিটালাইজেশন করা এই প্রশাসনের অন্যতম উদ্দেশ্য। যাতে প্রায় ৭০ কোটি টাকার প্রয়োজন। এই সময়ে যা বহন করা প্রসাশনের পক্ষে কষ্টসাধ্য।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল একাডেমিক ভবনের গগণ হরকরা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হওয়া আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান ও বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসকল কথা বলেন।
বিভাগটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মোত্তালিব’এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন, বিভাগীয় ছাত্র উপদেষ্টা কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন, অ্যারাবিক অ্যালামনাই অ্যাএসোসিয়েশনের সভাপতি ড মাহমুদুল হাসান এবং সদস্য কর্নেল আবদুল মোক্তাদের।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, প্রেস প্রশাসক অধ্যাপক ড. এ কে এম মফিজুল ইসলাম, জুলাই-৩৬ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম শামছুল হক ছিদ্দিকীসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান ও অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। এসময় বিভাগটির নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুস সালাম।
পবিত্র কুরআন থেকে তিলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে পর্যাক্রমে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ, বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগীত পরিবেশনা, বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণ, কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং সদ্য সাবেক সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।
বিভাগটির সদ্য সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, আমাকে চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২ টি বড় সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে। একটি হচ্ছে করোনা সংকট, আরেকটি হচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থান যার মাধ্যমে দেশে একটা বড় পট পরিবর্তন হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছর সময় ধরে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আশা করছি জুলাই বিপ্লবের এই নতুন বাংলাদেশে এ বৈষম্য দূর হবে। এর প্রথম সাক্ষী হবে তোমাদের এই মাস্টার্স ২২-২৩ এর ব্যাচ। তোমরা যদি সফল হতে পারো তাহলে আবারো প্রমান হবে যে এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির জন্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম।