ববি প্রতিনিধি:বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগ দাবির ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা অনড় অবস্থানে রয়েছেন। আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) ববির জীবনানন্দ কনফারেন্স হলে চার ঘণ্টার সভায় দফায় দফায় হট্টগোল হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।
পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের মতভেদের কারণে শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধানে পৌঁছানোর আগেই সভা শেষ হয়েছে। সভায় শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করলেও আরেকটি পক্ষ তাঁকে সুযোগ দেওয়ার দাবি তোলে। এর পরই তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে সভায় শুরু হয় হট্টগোল। এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ দাবিতে কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় কিছু শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগ ইস্যু নিয়ে বেলা ১১টায় সভা শুরু হয়। সভায় ববি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, প্রক্টর ড. এ টি এম রফিকুল ইসলামসহ দেড়শর মতো শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। সভার একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে। এর মধ্যে ববির নতুন ট্রেজারার ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে দুর্নীতিগ্রস্ত ও স্বৈরাচারের দোসর দাবি করে তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলে শিক্ষার্থীরা। তখন শিক্ষার্থীরা বলে, আবু হেনা মোস্তফা কামালকে রাতের আঁধারে ক্যাম্পাসের বাইরে বসে অবৈধ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়োগ বৈধ করতে গভীর রাতে ববির সহকারী রেজিস্ট্রারকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে অবৈধভাবে নিয়োগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এমন অনেক প্রশ্নের সদোত্তর দিতে পারছিলেন না উপাচার্য। তখন উপাচার্যের পদত্যাগের পক্ষের শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন-উত্তর নিয়ে উপাচার্যকে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছিলেন। এসময় উপাচার্যের পদত্যাগ চায় না এমন সাত-আট শিক্ষার্থী ভিন্ন প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করছিল। এর পরই দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হট্টগোলের সৃষ্টি করে। ফলে কোনো সমাধানে পৌঁছানোর আগেই সভা শেষ হয়। তবে শিক্ষার্থীরা এখনও উপাচার্যের পদত্যাগ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ বলে জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।