বেলা রোববার (১১ নভেম্বর) সাড়ে ১২টার দিকে তিন রাস্তার মোড়ে পাল মার্কেটে এ ঘটনার নেতৃত্ব দেন তালা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রিপন ইসলাম। এ সময়ে তার সঙ্গে ছিলেন আরও ৭-৮ জন নেতাকর্মী।
ঘটনার সময়ে উপস্থিত থাকা সাংবাদিক ফয়সাল হোসেন জানান, একটি বিক্ষোভ মিছিল তালা উপশহর প্রদক্ষিণ করছিলো। খবরের জন্য আমি সেটির ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলাম। মিছিলটি তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ছাত্রদল নেতা রিপন ইসলামের নেতৃত্বে ৭-৮ জন নেতাকর্মী প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তালা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক রিপন ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকজনের অফিসে তালা লাগানো হয়েছে। এটা যদি প্রেসক্লাব হয় তাহলে কোন সমস্যা নেই। ভুল করে লাগিয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে সরাসরি বিস্তারিত কথা বলবো। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররাও ছিল বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালার প্রতিনিধি সাকিব ও কাদের জানান, আজ তালায় আমাদের কোন কর্মসূচি ছিল না। এমনকি মিছিলেও আমাদের কেউ ছিল না। আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে দায়ভার সেই ব্যক্তি বা সংগঠণের।
মিছিলে থাকা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মির্জা আতিয়ার রহমান বলেন, মিছিলের মধ্য থেকে তালা লাগানোর অধিকার তাকে কে দিল ?
যুবদলের সদস্য সচিব মন্টু বলেন, আমি পাটকেলঘাটায় বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করছিলাম। তালার বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এটি নিয়ে আমি কথা বলবো। কোনো অপকর্মের দায় দল নিবে না।
জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম সজীব ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগ সত্য হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ ও তৎকালীন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিয়ার সরদার তালা প্রেসক্লাব দখল করে নেয়। এরপর থেকে পাল মার্কেটে অস্থায়ী কার্যালয় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে তালা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। গেল ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তালায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রিপন ইসলামসহ একটি বাহিনী ব্যাপক তাণ্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বগুড়া প্রতিনিধি:: বগুড়ায় জেলা কারাগারে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রতন মারা গেছেন। তিনি সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান । শহিদুল ইসলাম রতন শহরের গোদারপাড়া দক্ষিণ পাড়ার মৃত কলিম উদ্দিনের ছেলে এবং বগুড়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা কারাগারের সুপার ফারুক আহমেদ। তিনি জানান, শহিদুল ইসলাম রতন আগে থেকে অসুস্থ ছিলেন। তার ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হার্টের সমস্যা ছিল। সম্প্রতি কারাগারের মেডিকেল ওয়ার্ডে রাখা ছিল তাকে। গতকাল বিকেলেও তাকে নেবুলাইজার দেয়া হয়েছিল। পরে রাতে ২ টার দিকে মারা যান তিনি।