আজাদুর রহমান (জকিগঞ্জ প্রতিনিধি):সিলেট জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন) বলেছেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্য দিয়ে গত সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিল। সেজন্য এই সরকারের জনপ্রতিনিধিদের কাছে জনদূর্ভোগ গুরুত্ব পায়নি। জনপ্রতিনিধিরা জনগণের দুঃখ দূর্দশা লাঘবের চাইতে দূর্ণীতি করে
গ্রামীন উন্নয়নের বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছে। এ জন্য শেওলা-জকিগঞ্জ সড়কের বেহাল দশার পরিবর্তন হয় নাই। বিগত ১০ বছর থেকে এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। বিএনপি নেতা মামুনুর রশীদ (চাকসু মামুন) রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টার সময় জকিগঞ্জ উপজেলার মাছুমবাজার ও ঈদগাহবাজারে শেওলা-জকিগঞ্জ সড়ক সংস্কারের দাবীতে অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শেওলা-জকিগঞ্জ রোডের দীর্ঘ ২২ কি.মি রাস্তার নাজুক অবস্থা থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সর্বস্তরের মানুষদের। দীর্ঘ ১০ বছর থেকে সংস্কারবিহীন এই রাস্তায় হেলেদুলে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকে, অসাবধানতাবশত গর্তে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। যদিও এই ২২ কি.মি রাস্তাটির ৫ কি.মি রাস্তা সংস্কার কাজের টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। কিন্তু এই ৫ কি.মি রাস্তা পর্যাপ্ত মনে করছেন না এলাকাবাসী। গত ২৪ অক্টোবর জকিগঞ্জে জাতীয়তাবাদী মৎসজীবি দলের কর্মীসভায় এসে জনদূর্ভোগে কথা চিন্তা করে এই রাস্তা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন চাকসু মামুম। তাঁর এই আহবানে সাড়া দিয়ে আজ শতশত ছাত্র-জনতা মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে।
বীরশ্রী ইউনিয়নের মাছুমবাজার ও খলাছড়া ইউনিয়নের ঈদগাহ বাজরে পৃথক দুটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জকিগঞ্জ উপজেলা সভাপতি শফিকুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মাসুক আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শামসুল ইসলাম লেইছ, জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর রিপন আহমদ, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুশ শাকুর, খেলাফত মজলিস নেতা আব্দুল কাইয়্যুম, ঈদগাহবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ প্রমুখ।