সমাচার ডেস্ক::::: বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষক সেলিম হোসেন নিহতের ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১০১ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা ১০ মিনিটে নিহতের বাবা সেকেন্দার আলী বগুড়া সদর থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩৫০ জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আন্দোলনে শিক্ষক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের বাবা সদর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলাটি বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১০ মিনিটে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ১০১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ মামলায় একজন গ্রেফতার আছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পালিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা সেলিম কাহালু উপজেলার মুরইল লাইট হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট সেলিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়ার সাতমাথায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা হয়েছে।
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ কারণে এই দুইজনকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে আসামি করা হয়েছে। এই দুইজন বাদেও মামলায় আরো ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি ৩৫০ জন।
মামলার আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টি জামান নিকেতা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, সাগর কুমার রায়, এ কে এম আসাদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদৎ আলম ঝুনু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দুই সভাপতি আল রাজি জুয়েল ও নাঈমুর রাজ্জাক, সাবেক দুই সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরো ও অসীম কুমার রায়, শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান আকন্দ, বগুড়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, চেম্বারের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফুজুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সুফিয়ান, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাাফিজুর রহমান মোস্তা ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক, শাজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ছান্নু, বগুড়া পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে- আলহাজ শেখ, আরিফুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, মেহেদী হাসান, রেজাউল করিম ডাবলু, এম আর ইসলাম রফিক, আব্দুল্লাহ আল মামুন ক্যালে, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা, ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসিফ ইকবাল খান, নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন রানা, আনিসুর রহমান, পুন্ড্র ফিরোজ কামাল ফারুক, রায়নগর ইউপি চেয়ারম্যান শফিক, মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান সবুজ, বগুড়া জেলা যুবলীগের দফতর সম্পাদক জাকারিয়া আদিল, আটমূল ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, শিবগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শহীদ, বগুড়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাসিমুল বারী নাছিম, সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ, শহর যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আনন্দ চন্দ্র দাসসহ আরো অনেকে।