আবু নোমান : ডিজিটাল মিডিয়া অ্যাক্সিলেন্ট অ্যাওয়ার্ড-২০২৪ পেয়েছেন কালবেলার স্টাফ রিপোর্টার(অনুসন্ধান) জাফর ইকবাল। শনিবার (১জুন) বিকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এর আয়োজ করে ডিজিটাল মিডিয়া ফোরাম (ডিএমএফ)।৫টি ক্যাটাগরিতে পাঁচজন সাংবাদিকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এর মধ্যে অনুসন্ধানমূলক সাংবাদিকতায় পুরস্কারপ্রাপ্ত হন জাফর ইকবাল।
অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিলো: “মানবিক মুখোশের আড়ালে ভয়ংকর মিল্টন সমাদ্দার”। এই প্রতিবেদনে মিল্টন সমাদ্দারের ভয়ংকর কার্যকলাপের চিত্র ও মুখোশ উন্মোচন করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি’র) মহাপরিচালক
জাফর ওয়াজেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবাইয়াত ফেরদৌস, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা উদয় হাকিম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর রুবাইয়াত ফেরদৌস বলেন, সাংবাদিকতায় সুষ্ঠু ধারার চর্চা দরকার। সাংবাদিকরা যাতে পথভ্রষ্ট না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। সুষ্ঠু ধারার সাংবাদিকতাই পারে দেশের চিত্র পাল্টে দিতে।জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, বৈশ্বিক পরিবেশের সাথে তালমিলিয়ে চলার জন্য আমাদের ডিজিটাল মিডিয়াকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
সাংবাদিকদের দুইটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ইথিক্যাল জার্নালিজম ও কোয়ালিটি জার্নালিজম। সংবাদের যদি কোয়ালিটি না থাকে আর ভিউ মূখ্য হয়ে যায়। তাহলে গণমাধ্যম গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতার সাথে ডিগ্রির কোন সম্পর্ক নাই। বাংলাদেশ অর্ধেক সাংবাদিক যাদের কোন ডিগ্রি ছিলো না। ডিজিটালে ভিউয়ে উপরে নির্ভর করে সাংবাদিকতা করলে সেন্সরশিপ বাড়বে, গ্রহণযোগ্য নষ্ট হবে। তাই কোয়ালিটি জার্নালিজম করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন,
ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য সবকিছু সহজ হয়ে গেছে। কবিতা থেজে শুরু করে সবকিছু এখন ডিজিটালেই পাওয়া যায়। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। এর আগে এসব বিষয়ে উত্তরণ ঘটানো না গেলে বিপদ। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।