মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে হত্যা: মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীকে হত্যা: মূল পরিকল্পনাকারী গ্রেপ্তার
প্রণব কুমার সাহা, মাদারীপুর প্রতিনিধি: 
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বিল্লাল খানকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ভোরে গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে মাদারীপুরের জেলার গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। বিল্লাল কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাটাবালী গ্রামের মোকলেস খানের ছেলে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম,বিপিএম (বার) পিপিএম। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হতে পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হওয়া মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) ভাস্কর সাহা, সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্) শেখ মো. মুরসালিন, মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি এইচএম সালাহ উদ্দিন, জেলার গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. হাসানুজ্জামানসহ আরও অনেকেই।
পুলিশ সুপার জানান, দীর্ঘদিনের কোন্দল পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হওয়ায় লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সদস্য এসকেনদার খাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এছাড়া এসকেনদার ও বিল্লালদের মধ্যে এর আগে জমিজমা নিয়ে বিরোধ এবং মারামারির ঘটনায় একাধিক মামলাও হয়। এই পূর্বের বিরোধকে কাজে লাগিয়ে এসকেনদারকে হত্যা করা হয়। প্রাথমিকভাবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিল্লাল সরাসরি জড়িত বলে পুলিশের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকারও করেছে। সন্ধ্যায় বিল্লালকে আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, গত শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে বাড়ির সামনের রাস্তায় হাঁটতে বের হন এসকেনদারসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকা প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান মিয়ার সমর্থক ও লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বেপারীর নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের সমর্থক এসকেনদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পায়ের রগ কর্তনও করা হয়। বাঁধা দিলে আরেকজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
পরে আহত দুইজনকে উদ্ধার করে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের পাঠানো হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এসেকনদার। পরে রোববার নিহতের ছেলে কিরণ খাঁ বাদী হয়ে কালকিনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::