নিউজ ডেস্ক:::: রাজধানীর ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় এবার কাজ করছে ২৫ থেকে ২৭ হাজার পুলিশ সদস্য। এ সংখ্যা গতবারের চেয়ে অন্তত সাত হাজার বেশি। নাশকতা এড়াতে ঢেলে সাজানো হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি)। এ ছাড়া সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ও নেওয়া হচ্ছে বিশেষ পরিকল্পনা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ৭ জানুয়ারি। এরই মধ্যে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনকে সহযোগিতা করতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সে অনুযায়ীই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে পুলিশ। নির্বাচনে শুধু ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতেই কাজ করবে ২৫ থেকে ২৭ হাজার সদস্য। এরই মধ্যে এ নিয়ে হয়েছে কয়েক দফা বৈঠক। সাজানো হচ্ছে পরিকল্পনা।
ডিএমপি যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘রাজধানীতে অবাধ, সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ও নির্দেশনা অনুযায়ী পরিকল্পনামাফিক আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও এলাকা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করেছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রের গুরুত্ব অনুযায়ী আমরা ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা করছি।’
এদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্বাচন বানচালে নাশকতার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে একটি পক্ষ। সে ঝুঁকি মাথায় রেখেই নিরাপত্তা প্রশ্নে এগোতে হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশিদ বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি সহিংসতার ডাক দেয়, তাদেরকে যদি আইনগতভাবে সমাজ থেকে দূরে রাখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি মানুষের আস্থা তখন বেড়ে যায়।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে থাকছে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আনসার ও কোস্টগার্ডের প্রায় সাড়ে ৭ লাখ সদস্য।