পরিবারে শোকের মাতম,২৪ জনকে আসামি করে মামলা

পরিবারে শোকের মাতম,২৪ জনকে আসামি করে মামলা
আশিকুর রহমান(স্টাফ রিপোর্টার): নরসিংদী শহরের আলীজান জুট মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র সাজিম (১৪) কে কাউরিয়াপাড়া এলাকায় দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহত সাজিম এর বাবা মোঃ আমির হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় হাসান আহমেদ রাব্বিকে প্রধান আসামি করে ২৪ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
মামলার বাদী আমির হোসেন প্রতিনিধিকে জানান, আমরা এ মামলায় কোনো নিরপরাধ মানুষকে আসামী করেনি। যারা আমার নাবালক ছেলেকে হত্যা করেছে এবং আমাকে কুপিয়ে এধরনের নৈরাজ্য ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকেই  আসামি করা হয়েছে। কারোও চাপে বা কোনো রাজনৈতিক চাপে এ মামলা দায়ের করেনি। আমি এধরণের জঘন্যতম হত্যা ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে তাদের ফাঁসি চাই।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাজিমের দাদার বাড়ি ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের আগানগর গ্রামে। বাবা বিয়ে করেন নরসিংদী শহরের বাউলপাড়া এলাকার ছাত্তার মিয়ার ২য় মেয়ে সোনিয়াকে। বিয়ের পর থেকে সাজিমের বাবা আমির হোসেন বাউল পাড়াতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ছাত্তার মিয়ার (নানা) আদর ও ভালোবাসায় বেড়ে ওঠেন সাজিম। পরে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি হোন সে। সাজিম এলাকায় নম্র-ভদ্র হিসেবে পরিচিত মুখ ছিলেন। অপরদিকে নিহত সাজিমের বাড়িতে চলছে শোকের মাতাম। একই পরিবারের ৪ জনকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। এদিকে সাজিমের মা অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে বার বার মোর্চা যাচ্ছিলেন। কোনো ভাবেই ছেলের মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেনা তিনি।
উল্লেখ গত ৮ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দুপুরে স্পিডবোট ঘাট কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ মতিন মিয়া গংদের হামলায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে স্কুল পড়ুয়া ছাত্র সাজিম কে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হামলায় সাজিমের বাবা আমির হোসেন, মামা রায়হান, তালহা (মামা) জহিরুল সহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে। বিগত বছরে ঘাট ইজারা পেয়েছিলেন স্থানীয় মতিন মিয়া। কিন্তু  চলতি বছরে সর্বোচ্চ দরপত্রের মাধ্যমে ঘাট ইজারা পান সাবেক পৌর কাউন্সিলর আলমাস মিয়া। এতে করে আলামস মিয়ার উপর ক্ষুদ্ধ হোন মতিন। বেশ কয়েকবার মতিন ও তার সহযোগীরা স্পিডবোট ঘাটে হামলা এবং চালকদের মারধর করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। স্পিডবোটের চালক ও যাত্রীদের মধ্যে আতংকের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রী উঠানামা অনেকাংশে কমে আসে। এর প্রতিকার চেয়ে বেশ কয়েকবার মতিন মিয়ার সাথে আলমাস মিয়া বৈঠক করে ব্যর্থ হোন। ইজারাকে কেন্দ্র মতিন ও তার সহযোগীরা বার বার ঘাটে হামলা ও স্পিডবোট চালকদের মারধর করে আসছিলো।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::