আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেশার ঘোরে স্ত্রীকে খুন করার পর তার মগজ নিয়ে ‘ট্যাকো’ (স্থানীয় এক ধরনের খাবার) বানিয়ে খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুধু তাই-ই নয়, স্ত্রীর মাথার খুলিকে অ্যাশট্রে হিসেবেও ব্যবহার করেন তিনি।জানা যায়, ৩২ বছর বয়সী সেই স্বামী শয়তান উপাসক ছিলেন। পুলিশকে তিনি বলেন, শয়তানই তাকে এ অপরাধ করার নির্দেশ দিয়েছে।শনিবার (৮ জুলাই) ব্রিটেন ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম দ্য মিরর এবং ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি এই তথ্য প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর পুয়েব্লোতে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ২ জুলাই অভিযুক্ত স্বামী আলভারোকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে ২৯ জুন স্ত্রী মারিয়া মন্টসেরাটকে খুন করেন আলভারো। পুলিশের কাছে তিনি দাবি করেছেন, তাকে স্বপ্নাদেশ দেওয়া হয়েছিল। আর সেই আদেশ পালন করতে গিয়েই স্ত্রীকে খুন করেন।নিহত স্ত্রী মারিয়া মন্টসেরাট ও স্বামী আলভারোমারিয়া-আলভারোর বিয়ের বয়স এক বছরও হয়নি। মারিয়ার আগের সংসারে পাঁচটি মেয়ে ছিল, যাদের বয়স ১২ থেকে ২৩ বছর।দ্য মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত তার স্ত্রীর মস্তিষ্কের কিছু অংশ ট্যাকোতে খাওয়ার এবং তার ছিন্ন মাথার খুলি অ্যাশট্রে হিসাবে ব্যবহার করার কথা স্বীকার করেছে। তিনি ভিকটিমের দেহ টুকরো টুকরো করে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখেছিলেন।হত্যার দুই দিন পর, আলভারো তার অপরাধ স্বীকার করার জন্য তার এক সৎ মেয়েকে ডেকেছিল বলে জানা গেছে। নিহতের মা মারিয়া অ্যালিসিয়া মন্টিয়েল সেরান স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন, আলভারো মেয়েকে ডেকে মায়ের মরদেহ সংগ্রহ করতে বলেন। তিনি জানান, ‘আমি ইতিমধ্যেই তাকে মেরে ফেলেছি এবং তাকে ব্যাগে রেখেছি।’মিসেস সেরান আরও বলেন, আলভারো একটি ছুরি, একটি ছেনি এবং একটি হাতুড়ি দিয়ে তার মেয়ের দেহ কেটে ফেলেছিল। মাদকের নেশায় তার মানসিক সমস্যা ছিলো, সেকারণেই সে এমন কাজ করেছে।এদিকে আলভারোর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন মারিয়ার মা আলিসিয়া মন্টিয়েল সেরান। পুলিশ জানিয়েছে, আলভারোর বাড়ি থেকে তন্ত্রসাধনার বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে তন্ত্রসাধনার সম্পর্ক রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।