মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরের শিবচরে জামিনে মুক্ত হয়ে বাদীকে হুমকি দেওয়ায় বিবাদীগনের বিরুদ্ধে আবারো থানায় জিডি করা হয়েছে । গত ২২ জুন দিনে শিবচর থানায় মামলার বাদী শহিদুল মিরবল এই জিডিটি করেন। এদিকে জিডির খবর শুনে উক্ত মামলার আসামীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে রামদা ও লাঠিসঠা নিয়ে আজ ২৩ জুন সকালে বিবাদীগনের লোকজন বাদীর বাড়ি গিয়ে খোজাখুজি করে এবং পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসে। এতে বাদী এবং তার পরিবার খুব আতংকে আছে ।
প্রত্যক্ষদর্শী, এলাকাবাসী ও মামলার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের তোতা মিয়া মাদবর এবং সিরাজ মিরবলের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। তার জের ধরে সিরাজ মিরবলের প্রবাসী ছোট ছেলের স্ত্রীকে মারধর করে তোতা মিয়া মাদবর ও তার লোকজন। বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মিমাংসা করে দিলে তাতে তোতামিয়া মাদবরের মনো প্লুত না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজ মিরবলকে হত্যার হুমকি দিয়ে তার দলবল নিয়ে চলে যায় । এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ জুন ভোড়ে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকে তোতা মিয়া মাদবর ও তার সহযোগীরা । ফজরের নামাজ পড়তে আসেন সিরাজ মিরবল তখন মসজিদে ফজরের জামাতের কাতার শুরু হচ্ছিল এই মুহুর্তে মসজিদের ভেতরে ঢুকতেই পেছন থেকে তোতামিয়ার নেতৃত্ব গামছা দিয়ে মুখ বেধে মসজিদের সামনের খালি জায়গায় ধারালো রামদা দিয়ে কুপিয়ে, শাবল, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করে । তার মৃত নিশ্চিত ভেবে সন্ত্রাসীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। নামাজ শেষে মসজিদের মুসুল্লিদের ও সিরাজ মিরবলের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এই বিষয়ে আহত সিরাজ মিরবলের ছেলে মো: শহিদুল মিরবল বাদী হয়ে তোতা মিয়া মাদবরসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে শিবচর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন।
শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান, এই বিষয়ে থানায় মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছিল । পরে অভিযুক্ত তোতা মিয়া মাদবরসহ সবাই জামিনে আসে। জামিনে এসে নাকি বাদীসহ তার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে বাদীর পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে । এ ব্যাপারে বাদী শহিদুল মিরবল গত ২২ জুন বিবাদীগনের বিরুদ্ধে থানায় একটি জিডি করেছেন । মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।মামলার বাদী মো: শহিদুল মিরবল বলেন, আমার বাবা সিরাজ মিরবলের শারিরীক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের আইসিওতে রাখা হয়েছে।