ইরফান সেলিমের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

ইরফান সেলিমের জামিন নিয়ে হাইকোর্টের রুল

নিজস্ব প্রতিবেদক ; বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও ইরফানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। এ সংক্রান্ত মামলায় শুনানি নিয়ে গতকাল বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন ইরাফানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার ও সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শাহীন মৃধা, মিজানুর রহমান খান শাহীন ও মোহাম্মদ শাফায়াত জামিল। আইনজীবীরা জানান, ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় ইরফান সেলিমসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা করা হয়। ওই নৌ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধরের ঘটনায় বিষয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করার পরে হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে কেন জামিন দেয়া হবে না,তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। জামিন আবেদন করার বিষয়ে সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, এর আগে বাড়িতে মদ এবং ওয়াকিটকি রাখার মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন পেয়েছিলেন ইরফান। আর অস্ত্র ও ইয়াবার মামলায় আগেই জামিন হয়েছিল। সর্বশেষ থাকল মারধোরের ঘটনায় করা মামলায়। তিনি ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে থাকার কথা স্বীকার করলেও মারধরে জড়িত ছিলেন না বলে জানিয়েছিলেন ইরফান। তার দাবি, ওই সময় তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা মারামারি করেছেন। গতকাল বুধবার ওই মামলার বিষয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ধানমন্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়েছিল ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর ওই নৌ কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন। এ সময় গাড়িটি থেকে দুই ব্যক্তি নেমে এসে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিমকে মারধর শুরু করলে তিনি আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। ঘটনাস্থলে লোকজন জমে গেলে সংসদ সদস্যের গাড়ি ফেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে গাড়ি ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্র জানায়, গাড়িটি সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের হলেও ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ইরফান ও নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন। ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, এ ঘটনায় ‘মারধর ও হত্যা চেষ্টা’ মামলা করা হয়েছে। পরে ২৬ অক্টোবর ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন ইরফান সেলিম।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা, সহ-অধিনায়ক তাসকিন