নিউজ ডেস্ক : বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৫০০ টন সার বোঝাই এমভি শাহাজালাল এক্সপ্রেস নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। তবে জাহাজে থাকা মাস্টারসহ ৮ কর্মচারী সাঁতরে পাশের লাইটারে উঠতে সক্ষম হয়েছে।মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় জাহাজটি ডুবে যায়। লাইবেরিয়া পতাকাবাহী ক্লিংকার ভর্তি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি সুপ্রিম ভ্যালোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এমভি শাহজালাল এক্সপ্রেস লাইটারের জাহাজের প্রোপেলার ভেঙে যায়। ফলে ভাঙা স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে লাইটার জাহাজটি ডুবে যায়। হাড়বাড়িয়া-৮ এলাকায় অবস্থিত লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী সারের জাহাজ এমভি ভীটা অলম্পিক নামক একটি জাহাজ থেকে সার বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়া এলাকায় যাচ্ছিল জাহাজ এমভি শাহাজালাল এক্সপ্রেস। তবে জাহাজটি ডুবে গেলেও চ্যানেল সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপটেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ।তিনি বলেন, জাহাজ ডুবলেও চ্যানেল সচল রয়েছে। চ্যানেলে কোনো সমস্যা নেই। জাহাজটি ডোবার খবর পেয়ে জাহাজের মালিক পক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মালিকপক্ষ জাহাজ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন। বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী জাহাজ অপসারণের জন্য তারা ১৫ দিন সময় পাবেন। এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ জাহাজ উদ্ধারে ব্যর্থ হলে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।জাহাজে থাকা সার পানিতে দ্রবীভূত হলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে কিনা এমন প্রশ্নে হারবার মাস্টার ক্যাপটেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ বলেন, আসলে সার একটি দ্রবনীয় পণ্য। পানির স্পর্শে এলে এটি দ্রবীভূত হবেই। মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বোঝা যাবে আসলে কি অবস্থায় রয়েছে।ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এমভি শাহাজালাল এক্সপ্রেসের মালিক ভাই ভাই শিপিং নাইন নামের একটি কোম্পানি। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী সারবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি ভিটা অলম্পিক গেল ২১ জানুয়ারি ৩১ হাজার ৪৫৯ মেট্রিক টন সার নিয়ে মোংলা বন্দর চ্যানেলের বহিঃনোঙরে সুন্দরিকোঠা-১ এলাকায় আগমন করে।