তামার তার লিয়ে স্বর্ণের বার তৈরি, মুলহোতাসহ গ্রেফতার ১০ 

তামার তার লিয়ে স্বর্ণের বার তৈরি, মুলহোতাসহ গ্রেফতার ১০ 

নিউজ ডেস্ক : মো. বশার মোল্লা নিজেকে ঢাকা কাস্টমসের পরিচালকের এপিএস হিসেবে পরিচয় দিতেন। কম দামে স্বর্ণের বার, ম্যাগনেটিক পিলার ও কয়েন কিনে দেওয়ার প্রলভন দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন।তামার তার গলিয়ে নকল স্বর্ণের বার ও কয়েন গছিয়ে দিয়ে অসংখ্যা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে প্রায় ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বশার।সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টোরোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি দক্ষিণ) সঞ্জিত কুমার রায়।সম্প্রতি সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর বিমানবন্দর ও দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের মুলহোতা বশার মোল্লাসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের একটি টিম। গ্রেফতার বাকি সদস্যরা হলেন- শেখ সোহাগ হোসেন মিন্টু, দ্বীন মোহাম্মদ, মো. জুয়েল শিকদার, কথিত ড. মোজাম্মেল খান ওরফে আকাশ, শেখ আলী আকবর, মো. জামাল ফারাজী, মো. সোহেল শিকদার, মো. বিল্লাল হোসেন ও মো. শাহরিয়ার ইকবাল। অভিযানে তাদের কাছ থেকে নকল ৪টি স্বর্ণের বার, স্বর্ণের বার তৈরির মেশিন, তামার তার, তার গলানোর ক্যামিক্যাল, হিউম্যান রাইটসের নকল আইডি কার্ড এবং সিভিল অ্যাভিয়েশনের নকল আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা একেক জন একেক চরিত্রে অভিনয় করতেন। ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও স্বর্ণের বার সরবরাহ করার কথা বলে সুকৌশলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে ১১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বশার মোল্লা।  ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, ভাটারা থানার একটি প্রতারণা মামলার তদন্তে একজন নারী ভুক্তভোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। যিনি গ্রেফতার প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে দুটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে সব টাকা প্রতারকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ভাটারা থানার এই মামলাসহ বিমানবন্দর থানার অপর একটি প্রতাণার মামলা তদন্তকালে এই চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করা হয়।তিনি বলেন, গ্রেফতার প্রতারক মো. বশার মোল্লা নিজেকে কাস্টমস পরিচালকের এপিএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে কম দামে স্বর্ণের বার কিনে দেওয়ার কথা বলতেন। গ্রেফতার শেখ সোহাগ হোসেন মিন্টু নিজেকে কাস্টমস পরিচালকের অ্যাডমিন হিসেবে ক্রেতার সঙ্গে দেখা করে বিশ্বস্ততা অর্জন করতেন। চক্রের অপর সদস্য দ্বীন মোহাম্মদ ও মো. জুয়েল শিকদার স্বর্ণকার হিসেবে নকল স্বর্ণের বার তৈরি করতেন। কথিত ড. মোজাম্মেল খান ওরফে আকাশ নিজেকে কেমিস্ট ও পরমাণু বিশেষজ্ঞ পরিচয় দেন।  শেখ আলী আকবর নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর হিসাবে পরিচয় দিতেন আর জামাল ফারাজী, সোহেল শিকদার, বিল্লাল হোসেন এবং শাহরিয়ার ইকবাল ক্রেতা নিয়ে আসতেন কথিত পরমাণু বিজ্ঞানীর কাছে।  পরে তারা ম্যাগনেটিক পিলার, কয়েন ও স্বর্ণের বার পরীক্ষা করে সঠিক আছে মর্মে ভুয়া রির্পোট দিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন।  তিনি বলেন, গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানা, দক্ষিণখান থানা, উত্তরা-পূর্ব থানা, কাশিমপুর থানা ও বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেউ যদি কখনো স্বর্ণের বার, ম্যাগনেটিক পিলার কিংবা মূল্যবান কয়েন বিক্রির প্রস্তাব দেয় তাহলে সে প্রস্তাবে রাজি না হয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে অবগত করবেন। এতে অন্তত প্রতারণার শিকার হবে না।

Leave a reply

Minimum length: 20 characters ::

More News...

মাদারীপুরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের (Stakeholders) অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভা

মাদারীপুরে গাড়ির চাপায় মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা নিহত