নিউজ ডেস্ক : দুই- একদিনের মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তবে মাঠপর্যায়ে সমন্বয়ের সুফল পৌঁছাতে আরেকটু সময় লাগবে বলে জানান তিনি।সোমবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান। এর আগে, রোববার (২৮ আগস্ট) ডিজেলের আগাম কর অব্যাহতি ও আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি তেল আমদানিতে করের ব্যাপারে আমাদের কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। সেই সুবিধার কারণে আমরা হয়তো চিন্তা করছি যে, তেলের দাম হয়তো আমরা সমন্বয় করতে পারব। সেটার হিসাবটা এখনও যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা আশা করছি, এখানে হয়তো একটা পরিবর্তন আসবে। সরকার যেহেতু শুল্ক ছাড় দিয়েছে। সেটা হয়তো কিছুটা আমাদের জন্য…তেলের মার্কেট আবার বেড়ে গেছে।তিনি বলেন, তেলের বাজার এখন ১৫০ -এর ওপরে চলে গেছে, যেটা আগে ১৩০ ছিল। এই অবস্থায় আমরা দাম কতটুকু সমন্বয় করতে পারব, কারণ এখানে ভর্তুতির বড় একটা অংশ আবার যোগ হবে। যখন ডিজেল ১১৪ টাকা ছিল ডিজেল তখন ৮ টাকার ওপরে ভর্তুকি ছিল, এখন হয়তো সেই জায়গাটা আরও বাড়বে। তারপরও এটা কমাতে কতটুকু সমন্বয় হবে- এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। হয়তো আজ-কালকের মধ্যে আমরা একটা সিদ্ধান্তে যাবো। এই এতটুকুই বলতে পারি।সমন্বয়টা কবে নাগাদ হবে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি তো আশা করি, কাল-পরশুর মধ্যে একটা কতটুকু যেতে পারি সেটার একটা ব্যবস্থা নেবো আরকি, মাঠপর্যায়ে সমন্বয়ের সুফল পৌঁছাতে আরেকটু সময় লাগবে- আমার মনে হয় তাই।সমন্বয় বলতে কী দাম কমবে এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমি তো কখনোই কম-বেশির কথা বলিনি। আমি সমন্বয় করতে বলেছি। আমরা চাচ্ছি, ট্যাক্স যে ৫ শতাংশ কমলো, সেটার কতটুকু প্রভাব পড়বে। এটা আমদানির ক্ষেত্রে কমলো কিন্তু খুচরা পর্যায়ে একটা কতটা প্রভাবে ফেলবে সেটা তো আমাকে দেখতে হবে।সমন্বয়টা যাতে বড় আকারে করতে পারি সেটাই আমরা চাই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেখলাম ওরকমভাবে হলো না, তখনও তো হিসাবের একটা বিষয় আছে। এদিকে তেলের দামও প্রচণ্ডভাবে বেড়ে গেছে। এটা আমরা আশাই করিনি। আমরা মনে করেছিলাম ট্রেন্ডটা হয়তো নিচের দিকে নামবে। এখন ১৫০-এ ঊর্ধ্বে চলে গেছে, এখনও ভয় পাচ্ছি আরও নাকি বেড়ে যায়।