সমাচার ডেস্ক: ডিমের বাজার স্থিতিশীল রাখতে ‘প্রয়োজনে ডিম আমদানির’ কথা ঘোষণা করার পরদিন থেকেই কমতে শুরু করেছে দাম। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতি ডজন ডিমের দাম কমেছে ২৫ টাকা। ১৬৫ টাকা ডজনের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ১০০ ডিমের পাইকারি দাম ১১শ’ টাকা ছিল। আর তারা প্রতিডজন বিক্রি করেন ১৪০ টাকা। কিন্তু কেউ এক হালি নিতে চাইলে ৫০ টাকা নিচ্ছিলেন। দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজনে ডিম আমদানি করা হবে, গত বুধবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এমন বক্তব্যের পরের দিনেই ডিমের দাম হালিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারগুলোতে দেখা গেছে, লাল ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫০ টাকা করে। অথচ গত বুধবার বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা হালি। সেই হিসাবে খুচরা বাজারে একদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা। তবে যারা ডজন কিংবা এক কেস ডিম কিনছেন তারা আরও কম দামে ১৪০ টাকায় কিনতে পারছেন। হাতিরপুলের মুদি দোকানি মতিয়ার রহমান বলেন, দাম বাড়ার পরে অনেকে ডিম কেনা কমিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন ১০ কেস ডিম বিক্রি হতো। এখন তার অর্ধেক বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিন ৬০ টাকা হালি ডিম বিক্রি হচ্ছিল এখন ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দাম কমার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আড়ত থেকে ডিম কম দামে কিনেছি। তাই কম দামেই বিক্রি করছি। দাম হঠাৎ করেই এত ঊর্ধ্বমুখী কেন জানতে চাইলে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমান উল্লাহ বলেন, মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তার ওপর জ¦ালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে ডিমের দাম বেড়েছে। ডিম আমদানি করা হবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখন ডিমের দাম কমানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমান উল্লাহ বলেন, আমরাও চাই ডিমের দাম কমাতে কিন্তু আমাদের উপায় নেই। তিনি বলেন, ডিমের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমেছে। আমাদের ব্যবসাও কমেছে। তবে লেয়ার মুরগির ডিমের দাম কমলেও দেশি মুরগি কিংবা হাঁসের ডিমের দাম কমেনি। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।